ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

করোনায় প্রয়াত শ্যামল চক্রবর্তী

লড়াই করেছিলেন রোগের সঙ্গেও। কিন্তু মারণ ভাইরাসের সঙ্গে পেরে উঠলেন না। প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সোমেন মিত্রের পর ফের রাজনৈতিক মহলে শূণ্যতার সৃষ্টি হল। এই বাম নেতার বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল তিনি কখনও সাংবাদিকদের ওপর রাগ করতেন না। সেটা দলের বিরোধী খবর লিখলেও। বরং ডেকে বলতেন, কে দিল খবরটা?‌ ফলে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বরাবর একটা যোগ ছিল শ্যামলবাবুর।
নিজে ফেসবুকে অনেক কথাই লিখতেন। ইদানিং তা আর পারছিলেন না। কারণ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এছাড়া বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যাও তাঁর ছিল। দীর্ঘদিন শ্রমিক সংগঠন সিটুর দায়িত্বে ছিলেন। বুধবার মেয়ে উষসী চক্রবর্তী নিজের ফেসবুক ওয়ালে বাবার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে পোস্ট করেন। মুখ্যমন্ত্রী যে তাঁকে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন, সেকথাও শেয়ার করেন উষসী। প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের আমলে পরিবহনমন্ত্রী ছিলেন শ্যামল চক্রবর্তী। তারপর তা যায় সুভাষ চক্রবর্তীর হাতে।
কয়েকদিন আগেই কোভিড আক্রান্ত হয়ে বাইপাসের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ভেন্টিলেশনে ছিলেন প্রবীণ নেতা। বাবার শরীর যে ভালো নেই, নিজেই ফেসবুকে জানিয়েছিলেন উষসী চক্রবর্তী। অভিনেত্রী জানান, তাঁর বাবার ফুসফুসের সংক্রমণ রয়েছে। তবে এই প্রথমবার নয়, আগেও বহুবার একই সমস্যায় ভুগেছেন বর্ষীয়ান নেতা। তবে তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্ট পজেটিভ আসে। রবিবার রাতে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। এমনকী ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দিতে হয় বর্ষীয়ান নেতাকে। তারপরও থেকে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না। আর আজ দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকা শ্রমিক নেতা করোনার কাছে পরাজয় স্বীকার করলেন।