ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এর প্রভাব ও তাণ্ডবে বাংলাদেশের কক্সবাজারে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডব শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি এলাকাগুলিতে বাতাসের তীব্রতা খুব বেশি।
বুধবার দুপুরে এটি বাংলাদেশ স্থলভাগে প্রবেশ করবে অতি গভীর নিম্নচাপ রূপে। স্থলভাগে ঢোকার আগে এটি শক্তি হারাবে। খেপুপাড়া থেকে চট্টগ্রামের মাঝখান দিয়ে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা৷ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে উপকূলের জেলাগুলিতে। সমুদ্র উত্তাল হবে; উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। মৎস্যজীবীদের আজ, বুধবার সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলীতে ঘরের দেওয়াল চাপায় আব্দুল খালেক, চকরিয়ার বদরখালীতে গাছ চাপায় আসকর আলী (৫০) ও মহেশখালীতে মাটির দেওয়া চাপা পড়ে একজন নিহত হয়েছেন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে, বাতাসের তোড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।