রোজই নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাটা বাড়ছে। বৃহস্পতিবারের আগে বৃদ্ধিটা ছিল ২৫ হাজারের গণ্ডিতে। শুক্রবার তা বেড়ে হয়েছিল সাড়ে ২৬ হাজার। শনিবার তা পৌঁছে গেল ২৭ হাজারের কোটায়। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা হল আট লক্ষ ২০ হাজার ৯১৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন আরও ২৭ হাজার ১১৪ জন। প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৫১৯ জন। এই ট্রেন্ডে করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার নেবে বছরের শেষদিকে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান, দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮,২০,৯১৬। এদের মধ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ২,৮৩,৪০৭ জন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২২,১২৩ জনের। শনিবার পৌঁছে গেল ২৭ হাজারের কোটায়। আক্রান্তের সংখ্যা আট লক্ষ ২০ হাজার ৯১৬ জন। তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা হল ১ হাজার ৮২৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্টে সাড়ে সাত হাজারেও বেশি মানুষ নতুন করে সংক্রামিত হয়েছে। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে দুই লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৬১ জন। তামিলনাডু এবং দিল্লির মোট সংক্রমণ এক লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্র–সহ দেশের কয়েকটি রাজ্যে করোনা সংক্রমণ গুরুতর আকার ধারণ করছে। মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত সক্রিয় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫,৯৩৪ জন, মৃত্যু হয়েছে ৯,৮৯৩ জনের। কর্নাটকে এখনও পর্যন্ত সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ১৯,০৩৯ জন, মৃত্যু ৫৪৩ জনের। দিল্লিতে সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ২১,১৪৬ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩৩০০ জনের। গুজরাতে সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ৯,৯০০ জন, মৃত্যু হয়েছে ২০২২ জনের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানান, করোনা ভ্যাকসিন দেশে তৈরি করতে কতদিন সময় লাগবে, তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া কোভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ছাড়পত্র দেওয়ার পর দেশ জুড়ে আশার সঞ্চার হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫১৯ জনের। এদের মধ্যে ২২৬ জন মহারাষ্ট্রের, ৬৪ জন তামিলনাড়ুর ও ২৬ জন পশ্চিমবঙ্গের, ২৭ জন উত্তরপ্রদেশের, দিল্লির ৪২ জন।