রাজ্য

কড়া সিদ্ধান্তের পথে নবান্ন

২০২০ সালে কোভিড সংক্রমণের সর্বোচ্চ অবস্থায় হাসপাতালগুলিতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল তার থেকেও ২০ শতাংশ অধিক ব্যবস্থা তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হল। বাংলাতেও ক্রমশ থাবা চওড়া হচ্ছে মহামারীর। জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। এমনকী, একাধিক জেলার কোভিড হাসপাতালে শয্যা সংখ্যাও বাড়ন্ত। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠক থেকে একগুচ্ছ নির্দেশিকার জারি করল নবান্ন।
এদিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই ব্যবস্থা তৈরির নির্দেশ দিল রাজ্য। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ভয়ঙ্কর এই কোভিড–১৯। ভোটবঙ্গে দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড করেছে রাজ্য। একদিনে আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ৪ হাজার। কলকাতায় ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হাজারেরও বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। বলার অপেক্ষা রাখে না, পরিস্থিতি ভয়াবহ। সোমবার ভোট হয়ে যাওয়া ১০টি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেখানেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
অন্যদিকে বৈঠকের পর জানানো হয়েছে, বাজারের মতো জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে প্রচার চালানো হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে জোর দেওয়া হবে। কোভিড সচেনতার প্রচার করতে জনবহুল এলাকায় মাইকে প্রচারেও জোর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বাজারগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, সংক্রমণে রাশ টানতে প্রয়োজনে শহরে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। প্রয়োজনে জমায়েত বন্ধ করার কথাও বলা হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে কোভিড রোগীর চিকিৎসার জন্য ২০ শতাংশ পরিকাঠামো বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভাকে ২৪ ঘণ্টা সতর্ক থাকার পরামর্শ দিল নবান্ন। আরটিপিসিআর টেস্ট বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ভিড় কমানোর দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যসচিব।