করোনা ওয়ার্ডের মধ্যেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন চিকিৎসাধীন এক কোভিড রোগী। কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত এক যুবক কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে আত্মহত্যা করেছেন। হাসপাতালের শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ। এই ঘটনায় রবিবার শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রবিবার সকালে এই আত্মহত্যার ঘটনাটি প্রথম নজরে আসে ওয়ার্ড কর্মীদের। ওয়ার্ডের মধ্যেই শৌচাগারে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখেন তাঁরা। তৎক্ষণাৎ তাঁরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এনআরএস হাসপাতালের চেস্ট বিল্ডিং-এ যেখানে করোনা ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে, তার তিন তলার শৌচালয় থেকে রবিবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে ওই যুবকের দেহ। গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখা যায় তাঁকে। এই দেখেই হাসপাতাল কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। চিকিত্সকরা তাঁকে পরীক্ষা করার পর মৃত বলে ঘোষণা করেন। করোনা নিয়ে তিনি চারদিন ধরে সেখানে ভর্তি ছিলেন।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম রাজকুমার বেরা (৩৮)। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তবে ঠিক কী কারণে ওই ব্যক্তি হাসপাতালের মধ্যেই আত্মহত্যা করলেন তা এখনও অজানা। এনআরএস হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগে তিনি চিকিত্সা করাতেন। কিছুদিন আগে তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়লে ২ সেপ্টেম্বর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের মধ্যেই রোগীর আত্মহত্যার ঘটনা এটাই প্রথম বলে জানা গিয়েছে!