এই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ কমবে কী করে? প্রশ্নটা উঠছে এই কারণে, মানুষ নিজেই সচেতন হচ্ছেন না। এমন ঘটনার এবার নজির মিলল। পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তখন ৩০ জন রোগী উপস্থিত ছিলেন। চিকিৎসক প্রথম জনের নাম ডাকতেই তিনি একটি রিপোর্ট ধরিয়ে দিলেন। আর সেই রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকের চক্ষু চড়কগাছ! কারণ তিনি যে করোনা পজিটিভ! দিব্যি সকলের মধ্যে বসে আছে। যা শুনে হুলুস্থুল পড়ে গেল রোগীদের মধ্যে। যে যেদিকে পারলেন, ছুটলেন। শেষে ওই রোগীকে বাড়িতে হোম আইসোলেশনে পাঠালেন চিকিৎসক।
এই ঘটনাই ঘটেছে কামারহাটি পুরসভায়। যার জেরে হতবাক পুরসভার চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা। পুরসভার মধ্যেই রয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানে নিয়ম করে চিকিৎসক বসেন। প্রথমেই নাম লিখিয়েছিলেন কামারহাটি প্রবর্তকপল্লির এক যুবক। এতাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। একটি বেসরকারি জায়গায় পরীক্ষা করতে দিয়েছিলেন। রিপোর্ট পজিটিভ দেখে যুবক তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে সোজা কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চলে যান। তাতেই এই হুলুস্থুল কাণ্ড বেধে যায়।
ওই যুবকের অভিযোগ, ‘আমার রিপোর্ট পজিটিভ। তাই জরুরি বিভাগের চিকিৎসককে বলি আমায় ভর্তি নিয়ে নিতে। কিন্তু তিনি ভর্তি নেননি। উল্টে স্থানীয় পুরসভায় গিয়ে লিখিয়ে আনতে বলা হয়। না হলে পুরসভার কন্ট্রোলরুমে ফোন করে বিষয়টি জানাতে বলা হয়। এরপর কন্ট্রোল রুম নাম্বারে ফোন করলেও কোনও সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই তিনি পুরসভায় আসেন।’
