বাংলাদেশ

বাংলাদেশে তৈরি টাস্ক ফোর্স

ভারতে করোনা টিকাকরণ শুরু হবে ১৬ জানুয়ারি থেকে। কিন্তু পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। কোভিড–১৯ পজিটিভ রোগীদের শনাক্তকরণের কাজ, মৃত্যুহার মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার খুবই সতর্ক। এবার দেশে শুরু হবে টিকাকরণের কাজ। তাই এবার আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে ‘কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্স’। ধাপে ধাপে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে দেওয়া হবে করোনার টিকা বলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে খবর।
উপজেলা থেকে জাতীয় পর্যায়ে মোট পাঁচটি কমিটির সমন্বয়ে গঠিত হবে এই টাস্ক ফোর্স। বাংলাদেশে করোনা টিকা সংরক্ষণ, বিতরণ, প্রয়োগ ও সমন্বয় সুষ্ঠুভাবে করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ করা নীতি এখন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায়। এই নীতি অনুযায়ী, সারা দেশে টিকা ব্যবস্থাপনাকে নিয়ে আসা হবে ৫টি মূল কমিটির অধীনে।
কেমনভাবে চলবে টিকাকরণের কাজ? টিকার ব্যবস্থাপনা, প্রস্তুত ও প্রয়োগের জন্য থাকবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি মূল কমিটি। বিভাগীয় পর্যায়ে কাজ করবে বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি। এভাবে পর্যায়ক্রমে জেলা সমন্বয় ও উপজেলা সমন্বয় কমিটি কাজ করবে। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে থাকবে ফিল্ড ওয়ার্কারদের নিয়ে গঠিত আরও একটি বিশেষ সেল ও একটি সমন্বয় কমিটি। এভাবে সকলকে সমন্বিত করে দেশজুড়ে সুষ্ঠুভাবে টিকাকরণের লক্ষ্যে তৈরি হচ্ছে টাস্ক ফোর্স।
বাংলাদেশকে করোনার ভ্যাকসিন দিচ্ছে ভারত। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রতিষেধক ‘কোভিশিল্ড’ পাঠানো হবে প্রতিবেশী দেশে। প্রাথমিকভাবে ফেব্রুয়ারিতে কোভশিল্ডের দেড় কোটি ডোজ দেওয়া হবে বাংলাদেশকে। সেই মর্মে দু’দেশের মধ্যে মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। টিকা আমদানিতে ব্যাংক গ্যারান্টিও জমা দিয়েছে বাংলাদেশ।