উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ। আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮০০ ছাড়িয়ে গেল। পরিস্থিতি যা তাতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অচিরেই চার হাজার ছাড়িয়ে যাবে। পুজোর পর দৈনিক পাঁচ হাজার আক্রান্তে পৌঁছতে পারে করোনা সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮৬৫ জন। মৃত্যুসংখ্যাও ৬ হাজার ছুঁইছুঁই। দুর্গাপুজোর আগে যা অশনিসংকেত বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
রাজ্যে মোট কোভিডরোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৩ জন। নতুন করে আরও ৬১ জনের মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫,৯৯২। রাজ্যে মৃত্যুহার ১.৮৯ শতাংশে রয়েছে। রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩৩ হাজার ১২১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২১ জন সক্রিয় রোগী বেড়েছে রাজ্যে।পুজো আসছে। বাজারে ভিড়। সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। তার ফল পড়ছে রাজ্যের কোভিড চিত্রে। লাগাতার বৃদ্ধি হচ্ছে দৈনিক সংক্রমণ।
আবার গত দু’সপ্তাহের মধ্যে সব থেকে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টাতেই। এরপরেও সংক্রমণের হার বেড়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ হাজার ৪২৮টি নমুনার পরীক্ষা হয়েছে। এর বিচারে দেখতে গেলে সংক্রমণের হার ছিল ৮.৮৯ শতাংশ। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৫০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর বিপরীতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮.০৩ শতাংশ মানুষ। দৈনিক সংক্রমণের হার গত জুলাইয়ে ১৭ শতাংশের ওপরে ছিল। এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণ (৩৮৬৫)।
গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের নিরিখে কলকাতাকে পেরিয়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা। এই সময়সীমায় কলকাতায় নতুন করে ৭৮৪ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৭৯১ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগণায় মোট আক্রান্ত ৬৩ হাজার ৯৪২। মৃত্যুও ৬ হাজারের কাছাকাছি। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫৯৯২। বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী ৩৩,১২১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৬১ জন। মোট ছ’টি জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় একশোর বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সব থেকে বেশি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে নদিয়ায় (১৫৮)। এর পর রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর (দুই জেলাতেই ১৫৪), পূর্ব বর্ধমান (১২৩), পশ্চিম বর্ধমান (১২১), জলপাইগুড়ি (১১৮) এবং দার্জিলিং (১০৪)।