An expert team of WHO will go to Chaina next weak for investigating the source of the COVID-19 virus,which has killed more than 5 lakh people
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ব্রেকিং নিউজ

সূর্যের আলোয় বাঁচে না করোনাভাইরাস

সূর্যের আলোয় করোনাভাইরাস বাঁচতে পারে মাত্র কয়েক মিনিট। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এক গবেষণায় দাবি করা হয়, অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণে ভাইরাসটি জেনেটিক্যালি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে এটি নিজের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং বৃদ্ধি ঘটাতে পারে না।

সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সামনে এই গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেছেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের উপদেষ্টা উইলিয়াম ব্রায়সন।

ব্রায়সন জানান, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা যত বাড়বে তা এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে ততই ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে। তাই গ্রীষ্মকালে ভাইরাসটির সংক্রমণ কমে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো– বিভিন্ন পৃষ্ঠতল ও বাতাসে থাকা করোনাভাইরাস নিধনে সূর্যালোক বেশ কার্যকর।

ব্রায়সন আরও জানান, গবেষণাটি করেছে মেরিল্যান্ড রাজ্যের ন্যাশনাল বায়োডিফেন্স অ্যানালাইসিস অ্যান্ড কাউন্টার মেজার সেন্টার।

গবেষণায় দেখা যায়, ২১ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ভাইরাসটির অর্ধায়ু ১৮ ঘণ্টা। অর্থাৎ এই তাপমাত্রায় কিছু পরিমাণ ভাইরাস রাখলে ১৮ ঘণ্টার মধ্যে এর অর্ধেক ধ্বংস হয়ে যায়।

এ পরীক্ষাটি করা হয় ২০ শতাংশ আর্দ্রতাসম্পন্ন একটি নিশ্ছিদ্র পৃষ্ঠতলে। আর পৃষ্ঠতল হিসেবে ব্যবহার করা হয় দরজার হাতল এবং মরিচারোধী ইস্পাত। আর্দ্রতা বাড়িয়ে ৮০ শতাংশ করা হলে ভাইরাসটির অর্ধায়ু কমে মাত্র ছয় ঘণ্টায় পরিণত হয়। আর এর সঙ্গে যদি সূর্যালোক প্রয়োগ করা হয়, তা হলে এই অর্ধায়ু মাত্র দুই মিনিটে পর্যবসিত হয়।

অন্যদিকে যখন বাতাসের জলকণায় ভাইরাসটি ভাসতে থাকে, তখন ২১ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা এবং ২০ শতাংশ আর্দ্রতা বজায় রেখে দেখা গেছে, এর অর্ধায়ু এক ঘণ্টা। এর সঙ্গে সূর্যালোক প্রয়োগ করা হলে, ভাইরাসটির অর্ধায়ু মাত্র দেড় মিনিটে নেমে আসে।

তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, অতিবেগুনি রশ্মি দিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। কারণ এই রশ্মি মানবদেহের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না ও এই ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে না।