নারদ মামলা গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। আর বিধায়ক মদন ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা ঘটনায় চার্জশিট পেশ হলেও কেন তাঁদের গ্রেপ্তার করা হল, এই প্রশ্ন তুলে দেন খোদ বিচারক।
ভার্চুয়ালি মামলা চলাকালীন সিবিআইয়ের আইনজীবী চার নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান। পালটা সিবিআই আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায় সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান, চার্জশিট যখন জমা পড়ে গিয়েছে তখন কেন গ্রেপ্তার করা হল? চার্জশিট তৈরি হয়ে গেলে এখন তো শুধু আদালতে শুনানি বাকি থাকতে পারে। তাহলে কিসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার?
সিবিআই সূত্রে খবর, চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। বিচারককে চার্জশিট জমা দিয়ে বিচারবিভাগীয় হেফাজত চেয়েছে সিবিআিই। আদালতে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, এখন কলকাতার কোভিড পরিস্থিতি দেখছেন ফিরহাদ হাকিম। এই অবস্থায় ফিরহাদকে গ্রেপ্তার করা হলে পুরো কলকাতা অসহায় হয়ে পড়বে। এটা হতে পারে না। তাছাড়া এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন হল? মুকুল রায়–শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেপ্তারর করা হল না কেন? তৃণমূলের আইনজীবী দাবি করেন, রাজ্যপালের কোনও ক্ষমতা নেই গ্রেপ্তারির অনুমতি দেওয়ার। রাজ্য যা সুপারিশ করবে সেটাই তিনি অনুমোদন করতে পারেন। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা করার কোনও অভিযোগ নেই। তাহলে গ্রেফতার করা হল কেন?
