আগামীদিনে পঞ্চায়েতের কাজ কীভাবে চলবে? সেই রূপরেখা পঞ্চায়েত সরপঞ্চদের জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে দেশের পঞ্চায়েতগুলির কাজের দক্ষতা আরও বাড়াতে এদিন ২টি অ্যাপেরও উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। একটি ‘ই–গ্রাম স্বরাজ অ্যাপ’, দ্বিতীয়টি ‘স্বামীত্ব যোজনা অ্যাপ’। করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি শহরের থেকে অনেক ভাল সামলেছে গ্রামগুলি। পঞ্চায়েতি রাজ দিবসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই দাবিই করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্য, দেশকে ‘স্বনির্ভর’ হতে শিখিয়েছে এই করোনাভাইরাসই।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভাইরাস আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। তবে আমাদের জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্র থেকেই কিছু না কিছু শেখা উচিত। করোনা আমাদের অনেক ভাবিয়েছে। কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক কিছু শিখিয়েছে। এটা আমাদের শিখিয়েছে যে নিজেদের রক্ষা করতে আমাদের আত্মনির্ভরশীল হতে হবে।’ করোনা মহামারীর জন্য দেশের কাজের পদ্ধতি বদলে গিয়েছে। তাই এই ভিডিও কনফারেন্স। করোনা মহামারীতে আমাদের অনেক অসুবিধা হয়েছে। আবার করোনা মহামারী আমাদের অনেক শিক্ষাও দিয়েছে বলে জানান তিনি।
শহরের মানুষদের গ্রামের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন নরেন্দ্র মোদী। কীভাবে সব নিয়ম মেনে চলেও স্বাবলম্বী হওয়া যায় তা শিখিয়েছেন গ্রামের মানুষজনই। মোদী জানান, দৈনন্দিন কাজের জন্যে অন্যের উপর নির্ভর না করে নিজের প্রতি ভরসা রাখুন। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ উন্নয়নমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারকে একটি চিঠিতে পঞ্চায়েতি রাজ সদস্যরা যে সদর্থক ভূমিকা নিয়েছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাঁদের সাহসী যোদ্ধা হিসাবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘জেলা থেকে গ্রামস্তর পর্যন্ত আত্মনির্ভর হতে হবে। দেশকে আত্মনির্ভর হতে হবে। শহর আর গ্রামের দূরত্ব কমাতে হবে। দেশের ১ লাখ গ্রামে এখন ব্রডব্যান্ড। গ্রামের মানুষদের হাতে হাতে এখন কম দামে স্মার্টফোন।’ তবে নানাবিধ অসুবিধা সত্ত্বেও লকডাউনে সামিল হওয়ার জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান মোদী।