দেশ লিড নিউজ

কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরে শুরু ভোট গণনা

মঙ্গলবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সকাল ৮টায় হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরে শুরু হল ভোট গণনা।

টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে বিজেপি নাকি সব হিসাব-নিকাশ উল্টে দিয়ে সরকার গঠন করবে কংগ্রেস? এই উত্তর খুঁজতে হরিয়ানায় শুরু হয়েছে ভোট গণনা। গত শনিবার হরিয়ানায় ৯০ আসনে ভোট গ্রহণ হয়।

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ভূপেন্দর সিংহ হুডা, কুমারী শৈলজা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং জননায়ক জনতা পার্টি (JJP) নেতা দুশান্ত চৌতালা, কুস্তিগীর এবং কংগ্রেস প্রার্থী ভিনেশ ফোগাট সহ ১০৩১ জন প্রার্থীর ভাগ্য বন্দী হয়েছে ভোটবাক্সে।

এ রাজ্যে ২০১৪ সাল থেকে ক্ষমতায় বিজেপি। এবারও তাদের প্রত্যাশা আবারও সরকার গঠন করা। এ বিষয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি জানান, রাজ্যের উন্নয়নে গত ১০ বছরে বিজেপি অনেক কাজ করেছে। সমাজের সব শ্রেণীর জন্য সততার সাথে সরকার পরিচালনা করেছে। একারণে টানা তৃতীয়বার বিজেপি রাজ্যটিতে ক্ষমতায় আসতে চলেছে।

তিনি আরও জানান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাবেন তাঁরা। যদিও বেশিরভাগ বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা গেছে কংগ্রেসের ফিরে আসার সম্ভাবনা বেশি। এমনকি কৈথাল কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আদিত্য সুরজেবালার দাবি, তার দল ৬০ আসনে জিতে সরকার গঠন করতে চলছে কংগ্রেস।

হরিয়ানায় সরকার গড়তে দরকার ৪৬ টি আসন। সেখানে এখনো পর্যন্ত ৫৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস, ২২ আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি, ২ আসনে এগিয়ে আছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল এবং জেজেপি এগিয়ে আছে ১টি মাত্র আসনে।

২০১৯ সালের নির্বাচনে ৯০ আসনের মধ্যে বিজেপি ৪০ আসনে জয় পায়। ৩১ আসনে জয় পায় কংগ্রেস। অন্যদিকে প্রথম বারের মতো নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমে সেবার ১০টি আসনে জয় পায় জননায়ক জনতা পার্টি, ১টি করে আসনে জয় পায় ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল এবং হরিয়ানা লোকহিত পার্টি। পরবর্তীতে নির্বাচনের পর জেজেপি’র সাথে জোট করে সরকার গঠন করে বিজেপি।

অপরদিকে জম্মু-কাশ্মীরেও শুরু হয়েছে ভোট গণনা। ১০ বছর পর এই রাজ্যটিতে বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর- এই তিন দফায় রাজ্যটির মোট ৯০ বিধানসভার আসনে ভোট গ্রহণ হয়। সেখানেও মঙ্গলবার চলছে ভোট গণনা।

সকাল ৮টায় গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই জোর টক্কর চলছে বিজেপি এবং ও কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোটের প্রার্থীদের মধ্যে। এছাড়াও রাজ্যটির প্রাক্তন ক্ষমতাসীন দল ‘পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি’, আপনি পার্টি, ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ আজাদ পার্টি- এর মত কয়েকটি ছোট রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র দলের একাধিক প্রার্থীরাও এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

শেষ খবর পর্যন্ত ৯০ আসনের মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স ৭ আসনে, বিজেপি ৬ এবং পিডিপি ১ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।