রাজ্যের রেশন ব্যবস্থার দুর্নীতি নিয়ে নানা ভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। রাজ্য সরকার অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগ পেলে কড়া হাতেই তার মোকাবিলা করে বলে দাবি করেছে। এবার অভিযোগ উঠল, রেশনের চাল সরবরাহের নামে সাড়ে তিন কোটি টাকা প্রতারণার। বেশ বিপাকে পড়ে যায় খোদ খাদ্যমন্ত্রীর দপ্তর। তাও আবার নিজের জেলায়। তাই এই ঘটনায় এক রাইস মিল মালিককে গ্রেপ্তার করল হাবড়া থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় দু’বছর ধরে তিনি পুলিশের খাতায় ফেরার ছিলেন বলে অভিযোগ। কৃষকদের থেকে ধান কেনার নাম করে রাজ্য খাদ্য দপ্তর থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকার চেক তুলে ভাঙিয়ে নিলেও চাল সরবরাহ করেননি তিনি। খোদ খাদ্য দপ্তরের অন্দরে এই ঘটনা ঘটায় খাদ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। কী করে এমন একজনকে নির্বাচিত করা হল? এমনকী তাকে কিসের ভিত্তিতে সাড়ে তিন কোটি টাকার চেক দেওয়া হল? বারবার তাগাদা দিয়েও নাকি টাকা উদ্ধার করতে পারেনি খাদ্য দপ্তর।
পুলিশ সূত্রে খবর, সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে খাদ্য দপ্তর হাবড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তার আগেই মিল বন্ধ করে বেপাত্তা হয়ে যায় চালকল মালিক রাজদীপ রায়। গত ১৪ জুন তাকে নারায়ণপুর থানা এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের ১৯ জন রেশন ডিলারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ২৭১ জন রেশন ডিলারকে শোকজও করা হয়েছে। এমনকী মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীণ খাদ্যসচিব মনোজ আগরওয়ালকে অপসারণ করা হয়। তারপরও রেশনে দুর্নীতি ঠেকানো কেন গেল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।