দেশ ব্রেকিং নিউজ

ভাঙা হল করোনা দেবীর মন্দির

করোনাভাইরাসকে তাড়াতে তৈরি হয়েছিল করোনা মাতার মন্দির। যা রাতারাতি উঠে আসে খবরে। কিন্তু করোনার আয়ুতে বিন্দুমাত্র আঁচ না লাগলেও মন্দিরের আয়ু দীর্ঘস্থায়ী হল না। কারণ তা তৈরির পাঁচদিনের মধ্যেই তা ভেঙে দেওয়া হল। যোগীর রাজ্যে এই ঘটনা ঘটায় জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কেন এভাবে ভেঙে দেওয়া হল?‌ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এই গ্রামের নাম শুক্লাপুর। উত্তরপ্রদেশের পর্তপগর জেলার এই গ্রামেই গত ৭ জুন তৈরি হয় ‘করোনা মাতা’র মন্দির। তারপর থেকেই মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে এখানে পুজো দিলে করোনা সংক্রমণ স্পর্শ করবে না বা করোনাভাইরাস হবে না। এখানে শ্বেতবর্ণ দেবীর চারটি হাত। মুখ ঢাকা মাস্কে। নিমগাছের তলায় অধিষ্ঠিত দেবী। মন্দিরে পুজো দেওয়ারও কিছু নিয়মকানুন চালু করা হয়েছিল। কোভিডবিধি মেনে চলাই যে পুজোয় যোগ দিতে হবে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ হাত স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে ধুয়ে, সামাজিক দূরত্ব মেনে মাস্ক পরে তবেই পুজো দেওয়া যাবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশই মন্দিরটি ভেঙে দিয়েছে। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, বেআইনিভাবেই ওই এলাকায় এই নির্মাণ কাজ হয়েছিল। আর এই অবৈধ জমির সঙ্গে যুক্ত কোনও পক্ষই মন্দিরটি ভেঙেছে। তবে আসল ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, লোকেশ কুমার শ্রীবাস্তবের নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে জমিটির মালিকানা নিয়ে বিবাদ ছিল নগেশ কুমার শ্রীবাস্তব ও জয়প্রকাশ শ্রীবাস্তবেরও। কিন্তু নগেশের অভিযোগ, জমি হাতানোর জন্যই লোকেশ মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন।

কিন্তু হঠাৎ কেন তৈরি হয়েছিল এই মন্দির? গ্রামবাসীদের কথায়, ‘এই দেবীর আরাধনা করার সিদ্ধান্ত গ্রামের সবাই মিলেই নেওয়া হয়। করোনাভাইরাস বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আর যাতে সে আঘাত না হানতে পারে তাই এই মন্দির।’ মন্দিরে পুজোর দায়িত্বে ছিলেন রাধে শ্যাম বর্মা। কিন্তু জমি জটে শেষমেশ ‘করোনা মাতা’র বিদায়ে মন খারাপ স্থানীয়দের। তার উপর ভেঙে দেওয়া হয়েছে মন্দিরটি। যা অনেকের আবেগে আঘাত লেগেছে।