করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ইউরোপে। তার জেরে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে ফের লকডাউন ঘোষণা করল ফ্রান্স এবং জার্মানি। এদিন ফের লকডাউনের পথে হাঁটার কথা ঘোষণা করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। এই ঘোষণার পরই বিশ্ব স্টক মার্কেট প্রবল ধাক্কা খেয়েছে। ফের অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
টেলিভিশনে বার্তা দিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। আমাদের সব প্রতিবেশীদের মতোই ভাইরাসের হঠাৎ বৃদ্ধিতে আমরা ডুবে গিয়েছি। আমরা সবাই একই অবস্থায় আছি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সম্মুখীন, যেটি প্রথমটির থেকেও আরও বেশি কঠিন ও মারণাত্মক হবে। ভাইরাসকে প্রতিরোধে আমি ফের লকডাউনে জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ফ্রান্সে কার্যকর হওয়া নয়া নিয়মে বলা হয়েছে, একমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা, মেডিক্যাল কারণ বা দিনে এক ঘণ্টা শরীরচর্চা করা ছাড়া মানুষের বাড়ির বাইরে বেরোনো নিষিদ্ধ। মানুষ কাজে বাড়ি থেকে কাজ করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুল খোলা থাকছে। তবে বাড়ির বাইরে বেরোলেই হাতে সুস্থতার নথি রাখতে হবে।
জার্মানিতে ২–৩০ নভেম্বর বার, রেস্তোরাঁ, থিয়েটার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খোলা থাকবে স্কুল। দোকানপাট খোলা থাকলেও সেখানে কড়া বিধিনিষেধ থাকবে। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল বলেন, ‘এখনই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। আজ আমাদের শারীরিক অবস্থা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত। তবে যে দ্রুততার সঙ্গে ভাইরাস ছড়াচ্ছে, তাতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা অনেকটা ছড়িয়ে পড়বে।’
উল্লেখ্য, ফ্রান্সে একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬,০০০ মানুষ। এই বছরের শুরুতে ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে জার্মানিতে করোনার প্রভাব ছিল অনেকটাই কম। সেখানেও করোনার সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে।
ছবি—রয়টার্স।