রাজ্য

রাজ্যে একধাক্কায় বাড়ল করোনা

বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টা সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৭৮৩ জন। অর্থাৎ আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজারের কাছাকাছি চলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সময় থাকতেই সতর্ক হয়ে রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আটকাতে সচেষ্ট রাজ্য প্রশাসন৷ নবান্ন থেকে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তাতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্য সরকারি অফিসগুলিতে ফিরতে চলেছে ৫০ শতাংশ হাজিরার নিয়ম৷
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই রাজ্যে চলছে ভোট উৎসব। প্রার্থীদের মিছিল থেকে সভা-সমাবেশে মানুষের ভিড় জমছে। এই ছবিই আশঙ্কিত করছে বিশেষজ্ঞদের। কারণ থেমে নেই করোনা। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৮৩। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। একইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতির উপর নজরদারির জন্য গত বছর যে কমিটিগুলি চালু করা হয়েছিল, সেগুলিকে ফের সক্রিয় করার কথাও বলা হয়েছে৷ তৈরি থাকতে হয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলিকেও৷ এমনকী প্রয়োজনে আগের মতোই কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটতে পারে সরকার৷
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক কলকাতায়। তারপরে উত্তর ২৪ পরগনা ও হাওড়া। কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭১৬ জন। উত্তর ২৪ পরগনা ও হাওড়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা যথাক্রমে ৫৯৫ ও ২২১। গত কয়েক দিন ধরেই রাজ্যে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী৷ রাজ্যে নির্বাচন চলায় যেভাবে স্বাস্থ্য উপেক্ষিত হচ্ছ, এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের৷ ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যগুলিতে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে৷ ফলে এখন থেকেই সতর্ক হতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন৷
এদিন সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে তৈরি থাকতে নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কোভিড মোকাবিলায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে হবে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ সেই বৈঠকেও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে নাইট কার্ফু জারি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিতে৷ তবে নতুন করে গোটা দেশে আর লকডাউন হবে না, সেই আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷