শহরে বাড়ছে করোনায় সংক্রামিতের সংখ্যা। বিশেষ করে দক্ষিণ এবং সংযুক্ত কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, চিন্তা থাকলেও শহরে করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে। এই অবস্থায় কলকাতায় নতুন করে আর কন্টেইনমেন্ট জোন করা হচ্ছে না। তবে প্রয়োজনে সেফহোম খোলা হবে। সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হচ্ছে।
কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের কাছে আক্রান্তদের তালিকা পেশ করেছেন পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুব্রত রায়চৌধুরী। সেখানে বলা হয়েছে, ২২ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর— এই চোদ্দ দিনে শহরের দক্ষিণ ও সংযুক্ত এলাকার ৯টি বরোয় দৈনিক গড়ে নতুন করে দশজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সেখানে আগামীদিনে প্রয়োজনে কন্টেইনমেন্ট জোন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে, এখনও সেই পরিস্থিতি আসেনি বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
তথ্য বলছে, গত এপ্রিল মাসে অর্থাৎ দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজার ৪৮৯ জন। এক মাসে মারা গিয়েছেন ৩১২ জন। মে মাসে আক্রান্তের আরও বাড়ে। এক মাসেই শহরে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লক্ষ ১০৪ জন। ১০০১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেক্ষেত্রে গত আগস্ট মাসে আক্রান্তের সংখ্যা সেই তুলনায় অনেকটাই কমেছে। অসুস্থ হয়েছেন মাত্র ২৩৪৯ জন। মৃত্যু ৬১ জনের।
আবার ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২,০৬২ জন। ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই তথ্যকে সামনে রেখেই পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছেন পুর স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, মে মাসের তুলনায় জুন মাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছিল ৮৮ হাজারেরও বেশি। আবার, জুলাই মাসে সেটি আরও ন’হাজারেরও বেশি কমে যায়। তবে, জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে ১০৮ জন অতিরিক্ত আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে, তথ্য বলছে, চিন্তা থাকলেও পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যায়নি।
এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই শহরের বিভিন্ন বাজার বিশেষ করে নিউমার্কেট, গড়িয়াহাট, হাতিবাগান সহ বিভিন্ন জায়গায় ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। কলকাতার বাইরে থেকেও লোকজন আসছেন শহরে। তাই স্বাভাবিকভাবেই খানিকটা ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ। এই অবস্থায় শহরের নাগরিকের প্রত্যেকের টিকাকরণ সুনিশ্চিত করতে চাইছে পুরসভা।