জেলা

করোনায় প্রথম মৃত্যু বনগাঁয়!‌ আক্রান্ত হাবরা থানাও

রাজ্যে করোনা রেকর্ড সৃষ্টি করছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। তবে এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু দেখল বনগাঁ পুরসভা। আমলাপাড়ার বাসিন্দা প্রদীপ দে (৫০) মারা যান। তিনি বারাসতের কদম্বগাছির কোভিড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। প্রদীপের পরিবারের আরও দু’‌জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁদের রাজারহাটের কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বনগাঁ পুরসভা সূত্রে খবর, আমলাপাড়ার বাসিন্দা প্রদীপ দে বেশ কিছুদিন ধরেই নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয় এবং রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁকে বারাসতের কদম্বগাছি কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় প্রদীপের। বনগাঁ পুর এলাকায় এই প্রথম কেউ করোনায় মারা গেলেন। স্বাভাবিক ভাবেই আমলাপাড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
বনগাঁ পুরসভার প্রশাসক শঙ্কর আঢ্য জানান, এটা আমাদের এখানে প্রথম মৃত্যু। তবে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুর এলাকায় এখনও পর্যন্ত কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪। তার মধ্যে ৬০ শতাংশ সুস্থ হয়েছেন। বারাসত পুর এলাকাতে নতুন করে ছ’জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারই মধ্যে শুক্রবার রাতে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বি কার্তিকেয়ন (৬০) মারা যান। তিনি কেরলের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন ধরে বারাসতে আছেন। ১১ জুলাই কোভিড আক্রান্ত হন। শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে বারাসত পুর এলাকায় করোনা–মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮।
স্থানীয় সূত্রে খবর, করোনা আক্রান্তের তালিকায় এবার যুক্ত হল হাবরা থানাও। হাবরা থানার এক এএসআই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ২৫ জুলাই তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। শুক্রবার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁকে হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। আর তিন–চারজন পুলিশ কর্মীকেও হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এখন থেকেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে র‌্যাপিড অ্য্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়ে গিয়েছে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।