রাজ্য

সংক্রমণ নামল চার হাজারে‌

বাংলায় করোনা সংক্রমণ নামল চার হাজারের ঘরে। কলকাতায় পাঁচশোরও নীচে। শুক্রবারের স্বাস্থ্য বুলেটিন থেকে জানা গেল, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮৮৩ জন। মারা গিয়েছেন ৮৯ জন। মাত্র ১৮ শতাংশ কোভিড বেডে এখন রোগী ভর্তি আছেন। সুতরাং আর একমাস কড়া বিধিনিষেধের মধ্যে থাকলে তা আরও নীচে নেমে যাবে। মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারবেন মানুষ।
শুক্রবার রাতে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্যতম সহ–অধ্যক্ষ স্বামী শিবময়ানন্দ (৮৬) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ছিলেন তিনি। রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের ছেলে সব্যসাচী এদিন করোনায় মারা যান। বিধায়ক মুকুল রায়ের স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সমরবাবুর সঙ্গে ফোনে কথা বলে সমবেদনা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বিধিনিষেধের মধ্যে থাকা এখনও জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।
মুকুলপত্নীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন তিনি। শুক্রবার এই ব্যাপারে একটি বৈঠকে অবিলম্বে জেলায় জেলায় সপ্তাহে দু’দিন করে সিওপিডি ক্লিনিক চালু করতে বলা হয়েছে। এদিন যাদবপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ সাম্প্রতিক ইন্টার্ন বিক্ষোভ নিয়ে তাদের অবস্থান জানায়। প্রেস বিবৃতি জারি করে কর্তৃপক্ষ বলে, করোনা পরিস্থিতিতে তাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ। এখন ইন্টার্নদের ভাতা বৃদ্ধি করা যাবে না। এদিনই রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় এক নির্দেশনামা জারি করে জানিয়েছে, সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য ডাক্তারদের আর এন ও সি লাগবে না।