Not long ago, this epidemic was going to end quickly. That's what a team of researchers from Singapore claims. Researchers at the University of Technology and Design (SUTD) at the University of Singapore say the Corona epidemic will subside in a few days.
স্বাস্থ্য

বাতাসেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, এটি শুধু হাঁচি-কাশির ড্রপলেটের থেকে ছড়ায়। তাই বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়েছেন সামাজিক দূরত্ব, নিয়মিত হাত ধোয়া ও মাস্ক পরার প্রতি। তবে সম্প্রতি এক গবেষণা বলছে, বাতাসের মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই দাবিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মত অনুযায়ী, যেসব স্থানে মানুষের ভিড় বেশি, বন্ধ ঘর বা যেখানে বাতাস চলাচল ঠিকমতো হয় না, সেসব জায়গায় বাতাসের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। এই পরিস্থিতিতে আমাদের বাড়ির বাইরে তো বটেই, বাড়ির ভেতরেও সতর্ক থাকতে হবে। এর কারণ হলো এই ভাইরাস শুধু সংক্রমিত ব্যক্তির মাধ্যমে ছড়ায় না, বাতাসেও ছড়ায়।

বায়ুবাহিত সংক্রমণ কি?
কোনো সংক্রমিত ব্যক্তি হাঁচি বা কাশি দিলে ভাইরাসটি তার শরীর থেকে বাতাসে প্রবেশ করে। এই ভাইরাস বাতাসে বেশ কয়েক ঘণ্টা জীবিত থাকে এবং এই বায়ুতে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া ব্যক্তিকে সংক্রামিত করতে পারে।

বায়ুবাহিত সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায়
বায়ুবাহিত সংক্রমণ এড়াতে প্রত্যেকের এন৯৫ মাস্ক পরা উচিত। সবসময় মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না। যেখানে কয়েকজন মানুষ একসঙ্গে আছে এমন জায়গায়ও যাওয়া ঠিক নয়। যদি কাজের জন্য বা কোনো কারণে বাড়ির বাইরে যান তবে ফেস শিল্ড ব্যবহার করা জরুরি। এর ফলে আপনি বারবার মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকবেন, দূরে থাকবেন সংক্রমণ থেকেও। এই ভাইরাস মাত্র পাঁচ মাইক্রন-এর হয়, যদি কোনো সংক্রামিত ব্যক্তি আপনার চারপাশে শ্বাস নেয়, তাহলেও আপনি সংক্রামিত হতে পারেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ কেরখোভ জানিয়েছেন, কেবলমাত্র মাস্ক ব্যবহার নয়, সামাজিক দূরত্বও এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কথা বলার সময় এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রাখুন এবং মাস্ক পরুন। কারণ কথা বলার সময়ও ভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এয়ার কন্ডিশন আছে এমন পাবলিক প্লেসে একদমই না যাওয়ার চেষ্টা করুন। কম ভেন্টিলেশনযুক্ত কোনো জায়গায়ও যাবেন না। এমন জায়গায় ভাইরাস খুব সহজেই ছড়াতে পারে। এই সময় যে ঘরে অবাধে বায়ুচলাচল করে সেইসব ঘর ব্যবহার করুন। বায়ুচলাচল না করতে পারলে ভাইরাস ঘরের ভিতরেই ঘুরতে থাকে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।