করোনা সংক্রমণের মোট সংখ্যার নিরিখে বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল ভারত। এটাই আশঙ্কা করা হয়েছিল। ওয়ার্ল্ডোমিটার্স দেখাচ্ছে, ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যাও পেরিয়েছে ৭০ হাজার। ভারত দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার পরে তিন নম্বরে নেমে গিয়েছে ব্রাজিল। সে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০.৯৩ লক্ষ।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্স সূত্রে খবর, ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার ৫৯৪ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১ লক্ষ ১০ হাজার ৮৮৩। শীর্ষে থাকা আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪ লক্ষেরও বেশি। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে আনলক–৪ কেন? কিসের ভিত্তিতে এই আনলক? শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০ লক্ষ ২৩ হাজার ১৭৯।
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, ভারতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯০,৬৩৩ জন। তার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১,১৩,৮১২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০৬৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর প্রাণ গিয়েছে। ফলে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৭০,৬২৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রামিত ৯০,৬৩৩ জন। আপাতত যার ধারে কাছে নেই বিশ্বের কোনও দেশ।
উল্লেখ্য, শনিবার মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্নাটকের মতো তিনটি রাজ্যেই দেশের মোট সক্রিয় করোনা আক্রান্তের ৪৬ শতাংশের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। সক্রিয় কোভিড–১৯ রোগীর সংখ্যা ছাড়াও এই তিন রাজ্যে শেষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫২ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংক্রমণের শৃঙ্খলা ভেঙে ফেলতে এবং মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপগুলিতে মনোনিবেশ করতে বলে কেন্দ্র।
এদিন দেশের এই করোনা প্রসঙ্গ তুলে মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তাঁর কথায়, ভারতই একমাত্র দেশ যারা লকডাউনের সুফল পাচ্ছে না। নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন ২১ দিনেই করোনা দেশ থেকে বিদায় হবে। এখন তাঁর দেশবাসীকে বোঝানো উচিত কেন অন্য দেশ সফল হলেও সংক্রমণ রুখতে ভারত ব্যর্থ হল। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে তাতে ৫৫ লক্ষ সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখেই হয়ে যাবে। মাসের শেষে সংখ্যাটা ৬৫ লক্ষে পৌঁছে যেতে পারে।
