দেশ লিড নিউজ

জানুয়ারি মাসেই করোনা ভ্যাকসিন দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

ইউরোপ এবং আমেরিকায় কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। ভারতে এমন পরিস্থিতি না তৈরি হলেও কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সোমবার জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়ে খুশির খবর দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, হয়তো জানুয়ারি মাস থেকেই দেশে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়ে যাবে। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ড. হর্ষবর্ধন জানান, এখন সারা দেশে মাত্র তিন লাখ অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে। একমাস আগে যা ছিল ১০ লাখের বেশি।
নিরাপত্তা এবং টিকার কার্যকারিতার দিকেই যে সরকারের মূল নজর রয়েছে তাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সারা দেশে এক কোটির বেশি করোনা সংক্রমিত মানুষ ছিলেন। তবে এখন ৯৫ লাখেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ভারতে এখন রিকভারি রেট সব দেশের থেকে বেশি। করোনা পরিস্থিতির সব থেকে কঠিন সময় ভারত পেরিয়ে এসেছে। তবে এখন ঢিলেমি দেওয়া যাবে না।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাফ বলেছেন, করোনার টিকা নিয়ে নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতার সঙ্গে মোটেই আপোস করা হবে না। গত চার মাস ধরে টীকাকরণের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা করছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য, জেলা ও ব্লক স্তরে টীকাকরণের জন্য রুট ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়েই গোটা দেশে টীকাকরণ চলবে। তার জন্য ২৬০টি জেলায় কুড়ি হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের ৩০ কোটি মানুষকে কোভিড নাইনটিন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, করোনার টিকার জন্য ইতিমধ্যেই ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-র কাছে জরুরিভিত্তিতে টিকার ছা়ড়পত্র দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে ভারত বায়োটেক, সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ফাইজারের মতো সংস্থা।