কেন্দ্রীয় দল মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে কড়া রিপোর্ট দিয়েছিলেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, বাংলায় করোনায় আক্রান্ত–মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রকাশ করা হল একটি তালিকা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক কোটির জনসংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২৬ জন। এই তালিকায় সবার উপরে রয়েছে দিল্লি। সেখানে এক কোটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৪৯ জন, এরপর রয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ। এখানে বিজেপি শাসিত রাজ্যের সংখ্যাই বেশি। তৃণমূলের প্রশ্ন, বিজেপি তবে কোন মুখে প্রশ্ন তুলছে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে।
এদিকে করোনা প্রতিরোধে বাংলার সাফল্য গোটা দেশের সামনে তুলে ধরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের লোকসভা–রাজ্যসভার নেতারা। জবাব দিতে একের পর এক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের টুইটারে লিখেছেন, ‘সস্তার রাজনীতি করে যারা বাজিমাত করতে বাংলাকে ভারতের উহান বলছেন, তাঁদের বলি পরিসংখ্যানের দিকে তাকাতে।’ ফেসবুক পেজে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি পোস্ট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
অন্যদিকে সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কারও শ্বাসকষ্ট রয়েছে কিনা তা ঘরে ঘরে গিয়ে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। এক মাস ধরে চলছে এই প্রক্রিয়া। করোনার বিভিন্ন উপসর্গ খতিয়ে দেখার জন্য সরকার ইতিমধ্যেই ৬০ হাজার আশাকর্মী নিয়োগ করেছে। তাঁদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও।
গত ৭ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত মোট ৫.৫৭ কোটি গৃহস্থের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৮৭২ জনের শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল এবং ৯১,৫১৫ জনের ছিল ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ। ৩৭৫ জন বিভিন্ন ইস্যুতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৬২ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি নথি অনুযায়ী, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৪৪, মৃত্যু হয়েছে ৬৮ জনের।
