রাজ্য

একদিনে করোনা সংক্রমিত ৩,২৭৪ জন

কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী চারটে জেলায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি খানিকটা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে রাজ্যের অন্যান্য জেলায় রোগী বৃদ্ধির হার অনেকটাই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩,২৭৪ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট করেনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৩৮,৮৭০। সরকারি বুলেটিনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৩ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২৮,০৬৯।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নতুন যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে কলকাতায় কনটেইনমেন্ট জোন কমে এসেছে ১৭। দুই ২৪ পরগণা, হাওড়া আর হুগলিতেও কনটেইনমেন্ট জোন কমেছে। অথচ রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। তাহলে কনটেইনমেন্ট জোন কমে আসার যৌক্তিকতা কোথায়?‌ উঠছে প্রশ্ন। আগের তালিকায় কলকাতায় ছিল ২০টি কনটেইনমেন্ট জোন। সেই তালিকা থেকে নতুন তালিকায় বাদ গিয়েছে চারটে জোন। যদিও একটি নতুন অঞ্চল এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে।
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। সবমিলিয়ে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২,৭৯৪। নতুন তালিকায় খিদিরপুরের মনসাতলা লেন যুক্ত হয়েছে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে। তবে এখন প্রশাসনের কাছে প্রধান মাথাব্যথা বালিগঞ্জ। কলকাতার ১৭টি কনটেইনমেন্ট জোনের মধ্যে এই বালিগঞ্জেই রয়েছে পাঁচটি জোন। নতুন তালিকা অনুযায়ী শহরে দু’টি সম্পূর্ণ বস্তি অঞ্চল কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত। সেগুলি রয়েছে সুরেন সরকার রোড আর চেতলা রোডে। এছাড়া ছ’টি মিশ্রিত এলাকা রয়েছে যেগুলি কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত।
তবে অন্যান্য জেলার তুলনায় কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনায় এবং হাওড়ায় এই মুহূর্তে সংক্রমণের হার বেশি থাকলেও আপাতত কমেছে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ। উত্তর ২৪ পরগণায় একটা সময়ে কনটেইনমেন্ট জোন ১১৫ উঠে গিয়েছিল। সেটা এখন কমে এসেছে ৮৭। হুগলিতে কনটেইনমেন্ট জোন ৪২। সুতরাং রাজ্যে মোট কনটেইনমেন্ট জোন বর্তমানে রয়েছে ২,৪২৭।