করোনাভাইরাস নিয়ে কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পর্যবেক্ষণ ছিল—বস্তির তুলনায় সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে বহুতলে। এবার বাস্তবে ধরা পড়ল তাঁর পর্যবেক্ষণের বিপরীত ছবি। কলকাতা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের উল্টোডাঙা স্টেশন লাগোয়া মুচিবাজার জহরলাল দত্ত লেন বস্তিতে ৬ জন বস্তিবাসী করোনায় আক্রান্ত হল। এমনকী তাদের মধ্যে দু’জন মুচিবাজারে ফল ও সবজি বিক্রেতা।
শনিবার এই খবর পাওয়া মাত্রই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। বাজার খোলা থাকলেও ক্রেতা বিক্রেতা সকলের চেহারায় আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, বস্তির তুলনায় বহুতলে সংক্রমণের প্রকোপ বেশি। এই বক্তব্যের পরেই উল্টোডাঙার ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে পুর কর্তাদের। শনিবার সকালে মুচিবাজারের ১০০ জন বিক্রেতার লালারস সংগ্রহ করতে আসেন এসএসকেএম হাসপাতালের ৬ সদস্যের মেডিকেল টিম।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাতে বলা আছে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের নিয়ে ওতটাও চিন্তার কারণ নেই। তাই এখন থেকে উপসর্গ না থাকলে আর করোনা পরীক্ষা করা হবে না সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কলকাতা–সহ কোনও কোনও জেলায় তিনগুন বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেনটাইন সেন্টারে ১৪ দিন রাখা আর সম্ভব হচ্ছে না। তাদের ৭দিন কোয়ারেনটাইন সেন্টারে রাখা হচ্ছে। বাকি সাতদিন হোম কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
