সোমবার থেকেই সরকারি–বেসরকারি অফিসগুলি নির্দিষ্ট সংখ্যক কর্মী নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সরকারি কর্মীদের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের অর্থ দপ্তর। কারণ করোনা আতঙ্ক নবান্নে তাড়া করে বেড়াল। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও বাড়ল কড়াকড়ি। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির পাশে আর পার্ক করা যাবে না অন্য কোনও গাড়ি। কয়েকদিন আগে নবান্নের ১৪ তলায় কর্মরত বেশকয়েকজন আমলার গাড়ির চালকের কোভিড—১৯ পজিটিভ আসে। নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। তাই পার্কিংয়ে রদবদল।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, কোনও কর্মীর যদি জ্বর, সর্দি–কাশি থাকে তাহলে তাঁর অফিসে আসার দরকার নেই। এমনকী কোনও কর্মী যদি সংক্রমিত এলাকার বাসিন্দা হন তাহলে তাঁকেও অফিসে আসতে হবে না। তাঁরা প্রয়োজনে বাড়িতে বসেই কাজ করবেন। কর্মী এবং আধিকারিকরা মুখোমুখি বসে বৈঠক করবেন না। একটি ঘরে দু’মিটার দূরত্ব বজায় রেখে ১০ জনের বেশি কর্মী যেন না বসেন। বাইরে থেকে কোনও ব্যক্তি কাজে এলেও তাঁকে শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
আগে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির পাশেই পার্ক করা হত মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টার গাড়িও। কিন্তু করোনা ধরা পড়ার পর বদলাচ্ছে পুরনো নিয়ম। এবার থেকে আর বেসমেন্টে বাকিদের গাড়ি রাখা যাবে না। নবান্ন ক্যাম্পাসের মধ্যেই রাখা হবে অন্যদের গাড়ি। জানানো হয়েছে, ৭০ শতাংশ হাজিরা বজায় রাখতেই হবে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে তেমন কোনও বাধ্যবাধকতাও নেই। তবে যে সমস্ত উচ্চপদস্থ আধিকারিক পৃথক ঘরে বসেন, তাঁদের নিয়মিত অফিস আসতে হবে।