দেশ লিড নিউজ

দেশে নতুন স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ২০

ব্রিটেন ফেরত আরও ১৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতির হদিশ মিলেছে। ফলে এখনও পর্যন্ত সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ২০। এই তালিকায় রয়েছে ২ বছরের শিশুও। সম্প্রতি পরিবারের সঙ্গে ব্রিটেন থেকে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে ফিরেছিল ২ বছরের শিশু। যার শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন। এই প্রথম এত কম বয়সি কেউ আক্রান্ত হল করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, কোভিড আক্রান্তদের আশেপাশে যাঁরা ছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যদেরও কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। আবার জানা গিয়েছে, ওই শিশুর বাবা–মা করোনায় আক্রান্ত। তাদের শরীরে নয়া স্ট্রেন আছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে এই পরিবারের চারজনের শরীরেই মিলেছে করোনাভাইরাস।
নতুন এই ১৪ জনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেরও একজন বাসিন্দা রয়েছে। তাঁর ভাইরাসের প্রজাতির জেনোম সিকুয়েন্সিং হয়েছে কল্যাণীতে। তবে সব থেকে বেশি মানুষ নতুন স্ট্রেনের জন্য পজিটিভ হয়েছে দিল্লিতে (৯)। এরপর রয়েছে বেঙ্গালুরু (৭)। দু’জন পজিটিভ হয়েছেন হায়দরাবাদে, একজন হয়েছেন পুনেতে।
ওই পরিবার উত্তরপ্রদেশের যে এলাকায় থাকে, সেই স্থান সম্পূর্ণ সিল করে দেওয়া হয়েছে। কড়া নজরদারির জন্য নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার পর্যন্ত পাওয়া খবরে নতুন স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬। ব্রিটেন–ফেরত নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত মহিলা বিমানবন্দর থেকে ট্রেনে করে দিল্লি থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ যান। তিনজন বেঙ্গালুরু ও দু’‌জন হায়দরাবাদে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ব্রিটেনের করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতিতে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক বলে দাবি করা হচ্ছে। সেটা ভারতেও একই আচরণ করবে কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কেউই কিছু জানাতে পারেনি। উল্লেখ্য, নতুন স্ট্রেন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। যার জন্য ব্রিটেনের সঙ্গে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যোগাযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, গত ২৫ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেন থেকে ভারতে এসেছেন ৩৩ হাজার জন। এদের মধ্যে কোভিড পজিটিভ হয়েছেন মাত্র ১১৪ জন। এই ১১৪ জনের মধ্যে কারও শরীরেও ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন পাওয়া যাবে না, এতটাও আশা করা উচিত ছিল না। জেনোম সিকুয়েন্সিংয়ের কাজ এখনও চলছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।