মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, দুই বোর্ডের একাধিক কর্মী আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং এপ্রিলের শুরুতেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুই বোর্ডের একাধিক কর্মী আক্রান্ত হওয়ায় সেই প্রস্তুতির কাজে ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আক্রান্তের সংখ্যা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে বোর্ডের প্রশাসনিক বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি আরও কয়েকজন আধিকারিক ও কর্মী ও আক্রান্ত হয়েছেন।দুই বোর্ডেরই একাধিক কর্মী আধিকারিক আপাতত আইসোলেশনে রয়েছেন।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যদি বেড়ে যায় তাহলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষে পরীক্ষার কাজ চালানো অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়বে বলেই মত দুই বোর্ডের আধিকারিকদের।
পর্ষদ সূত্রের খবর, এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে টেস্ট পেপার দেওয়ার কথা পর্ষদের। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন না হওয়ায় টেস্ট পেপার ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়ার প্রক্রিয়া আপাতত শুরু করা যায়নি। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেই কাজ ব্যাহত হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে পর্ষদ।
শুধু মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদই নয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, আধিকারিক মিলিয়ে একাধিক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।একাধিক আধিকারিক, অধ্যাপক ইতিমধ্যেই আইসোলেশনে রয়েছেন।এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম ছাড়া পঠন পাঠন বন্ধ রাখা হয়েছে।