করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যে বাড়তে শুরু করেছে। আর তাতে উৎকন্ঠা বাড়তে শুরু করেছে বাংলার মানুষের। এই ভাইরাসকে যদি তাড়ানোও যায় পরে আবার আক্রমণ করবে না তার গ্যারান্টি নেই। আর চিকিৎসা বলতে শুধু বেলেঘাটা আইডি। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করলে সেখানে জায়গা দেওয়া কার্যত কঠিন। তাই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল। রাজ্যের ২২টি জেলায় ২২টি ডেডিকেটেড নভেল করোনা হাসপাতাল তৈরি করা সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন।
প্রতি জেলায় একটি করে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল তৈরি করা হবে। সব জেলার প্রশাসন এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে এই মর্মে নির্দেশও পাঠানো হয়ে গিয়েছে। সেখানকার কোন হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করা প্রয়োজন, সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অ্যাপেক্স ট্রমা সেন্টারকে স্থায়ীভাবে কোভিড–১৯ রোগীদের চিকিৎসার্থে হাসপাতালে পরিণত করছে দিল্লি এইমস্। তবে পৃথক হাসপাতাল নয়।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, জেলা প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল নির্বাচিত করার। বেডের সংখ্যা, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি এবং কত চিকিৎসক–নার্স কর্মী দরকার, সবই বিস্তারিতভাবে রিপোর্ট পাঠাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনকে। একাধিক স্বাস্থ্য কর্তার দাবি, সরকার আগাম সর্তকতা হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
