আন্তর্জাতিক

লকডাউন সাফল্যে করোনামুক্ত নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ড এখন করোনামুক্ত দেশ। দেশের শেষ সক্রিয় করোনা রোগীও সুস্থ হয়ে উঠেছে। দেশে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে না কি তুলে দেওয়া হবে, সেটা আজই ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন। লকডাউন চালু করলেও সংক্রমণ ঠেকাতে নাভিশ্বাস উঠছে আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো শক্তিশালী দেশগুলির। সেখানে এই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েও অসাধ্য সাধন করে দেখাল উইলিয়ামসনদের দেশ। যার পেছনে রয়েছে ওশিয়ানিয়ার ছোট্ট দেশের কঠিন মানসিকতা।
জানা গিয়েছে, নিউজিল্যান্ডে প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। মাত্র ৪৯ লক্ষ জনসংখ্যার এই দেশে করোনা ছড়াতে শুরু করলে ভয়াবহ ব্যাপার হতে পারে বলে আন্দাজ করেছিলেন জেসিন্ডা। আর তাই দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন তিনি। আর মাত্র তিন মাসের মধ্যে করোনামুক্ত দেশ হিসেবে প্রথম তালিকায় নাম লেখাল নিউজিল্যান্ড। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠিন লকডাউন। সরকারের কঠিন নির্দেশকে মান্য করে ওই দেশ এখন সম্পূর্ণ করোনামুক্ত।
শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা যুক্ত মানুষদের আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কেনার জন্য ছাড় ছিল। সাধারণ মানুষের বাড়ির বাইরে বেরোনো ছিল পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এই দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৫৪ জন। মারা গিয়েছেন ২২জন। গত ১৭ দিন নতুন করে কোনও সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। সোমবার মধ্যরাত থেকেই দেশ থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। সীমান্তে কড়া বিধি নিষেধ থাকলেও অভ্যন্তরীনে কোনও নিষেধাজ্ঞা আপাতত থাকছে না। গত ১৫ মে থেকে লকডাউনের নিয়মকানুন অনেকটাই শিথিল করা হয় দেশে। কারণ করোনাভাইরাসের কার্ভটি নিম্নমুখী হতে শুরু করে।
টানা তিনমাস কঠোর লকডাউন আর প্রচুর পরিমাণে করোনা টেস্টের কারণে হাতেনাতে সুফল পেয়েছে এই ছোট্ট দেশ। নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রক অনুযায়ী ২৮ দিন যদি নতুন কোনো করোনারোগীর সন্ধান না পাওয়া যায়, তা হলে সরকারিভাবে করোনামুক্ত হবে দেশটি। সব কিছু ঠিকঠাক চললে ১৫ জুনই সেই স্বীকৃতি অর্জন করতে পারে এই দ্বীপরাষ্ট্রটি। দেশ করোনামুক্ত শুনেই শিশুকন্যা নেভের সঙ্গে একটু নেচে ফেলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা। আগামী চার মাসের মধ্যেই নিউজিল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন দ্বিতীয় দফায় মসনদ দখল করার জন্য অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন ৩৯ বছরের এই তরুণী প্রধানমন্ত্রী।‌