বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর মেলে গত ৮ মার্চ। আর ১৮ মার্চ অর্থাৎ প্রথম আক্রান্তের ১০ দিনের মাথায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। রমজানের ঈদের পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা গতি পায়। রমজানের ঈদের পর ১০ থেকে ১২ হাজার জনের নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ছাড়িয়ে যায় আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুও বাড়তে থাকে। সর্বোচ্চ ৫০ জন একদিনে মৃত্যু গিয়েছে।
এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। এখন আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মত অনুসারে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নীচে না নামা পর্যন্ত অবস্থা স্বাভাবিক বলা যাবে না। ১৮৭তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১,৮৯২ জন শনাক্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ২৭৪৬ জন। আজ সুস্থতার হার ৭০ শতাংশের বেশি ছিল। আর ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৪৬৩৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৯৪টি ল্যাবে ১৫৫৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, ১৬ লক্ষ ৯০ হাজার ১১টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হিসাব অনুসারে আক্রান্তের হার ১২.১৬ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের হার ১৯.৭০ শতাংশ। আক্রান্তের নিরিখে সুস্থতার হার ৭০.১৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৯ শতাংশ।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমছে বাংলাদেশে। তা সত্ত্বেও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তথা বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট ডা. এ এস এম আলমগীর। তাঁর মতে, গোটা দুনিয়াতেই স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাটাই বর্তমানে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম দাওয়াই।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে। প্রতিটি ট্রেনের মোট আসনের অর্ধেক টিকিট বিক্রি করা হবে। তার মধ্যে ২৫ শতাংশ অনলাইনে এবং বাকি ২৫ শতাংশ কাউন্টারে বিক্রি করা হবে। ট্রেনে যাত্রীসেবা ঠিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা হয়েছে। এক গেট দিয়ে প্রবেশ এবং অপর গেট দিয়ে বেরোনো। স্টেশন আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন। রেল পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীরা তৎপর। হকারের আনাগোনা এখন নেই।