কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩০১। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। আর পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
আক্রান্তের সংখ্যায় এখনও পর্যন্ত শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩৫ জন। মহারাষ্ট্রের পরই ছিল কেরল। তারপর তামিলনাড়ু। কিন্তু গত দু’দিনের মধ্যে প্রায় পাঁচ গুণ সংক্রমণ বেড়েছে তামিলনাড়ুতে। ৩১ মার্চ ওই রাজ্যে সংক্রমণের যে সংখ্যাটা ছিল মাত্র ৭৪। সেটাই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৯। এই অল্প সময়ে সংক্রমণের একটা বিশাল লাফ এক ধাক্কায় দেশের মোট সংক্রমণের সংখ্যায় বাড়িয়ে দিয়েছে।
মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং কেরলের পর রয়েছে দিল্লি (২৯১), রাজস্থান (১৩৩), উত্তরপ্রদেশ (১১৩), অন্ধ্রপ্রদেশ (১৩২) এবং তেলঙ্গানা (১০৭)। করোনায় মৃত্যুর নিরিখে প্রথম স্থানেও মহারাষ্ট্র। সেখানে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পরে আছে গুজরাট। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। মধ্যপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। দিল্লি ও পাঞ্জাবে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনার এই সঙ্কটের মধ্যে নিজামউদ্দিনের জমায়েত আরও আশঙ্কা বাড়িয়েছে সরকারের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, নিজামউদ্দিনের জমায়েতে উপস্থিত এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা প্রায় ন’হাজার জনকে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।