দেশ লিড নিউজ

কেন্দ্রের কর দাম বাড়াল ভোজ্য তেলের

ভোজ্য তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু দাম বাড়ার মূল কারণ কী? আমদানি করা ভোজ্য তেলের উপর কেন্দ্রীয় সরকার আরোপিত কৃষি সেস। এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে ভোজ্য তেলের উপর ‘এগ্রিকালচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেস’ চাপিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিদেশ থেকে আমদানি করা পাম তেলের উপর ১৭.৫ শতাংশ এবং সূর্যমুখী–সয়াবিন তেলের উপর ২০ শতাংশ হারে এই সেস বসানো হয়েছে। এর সঙ্গে আমদানি শুল্ক তো আছেই। এতেই নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের। ব্যবসায়ীদের বয়ান, সেস চাপানো না থাকলে প্রতি কেজি আমদানিকৃত পাম তেল ২১ টাকা, সয়াবিন তেল ২৭ টাকা এবং সূর্যমুখী তেল ৩৬ টাকা কম দামে পাওয়া যেত।

ভোজ্য তেলের মধ্যে সব থেকে কম দাম পাম তেলের। এই তেল মূলত মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। দাম বাড়লে প্রভাব পড়ে পশ্চিমবঙ্গ–সহ বিভিন্ন রাজ্যে বহুল ব্যবহৃত সর্ষের তেলের উপর। গত জুন মাসে কেন্দ্র পাম তেলের উপর আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করে। আন্তর্জাতিক বাজারে পাম তেলের দাম কিছুটা কমেছিল। ফলে পাইকারি বাজারে পাম তেলের দাম কেজিতে ১১০ টাকার আশপাশে নেমে আসে।

কয়েকদিন আগে সূর্যমুখী ও সয়াবিন তেলের উপরও আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয় সাড়ে ৭ শতাংশ। তবে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। পোস্তা বাজার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা বিশ্বনাথ আগরওয়াল জানান, মাশুল কমায় দু’টি ভোজ্য তেলের দাম এখন কিছুটা কমবে। পাইকারি বাজারে এখন যে তেলের দাম ১৩৮ টাকা কেজি, তা ১৩০ টাকায় নামতে পারে। সেস তুলে দিলে দাম অনেকটাই কমত।