The state-owned Indian Oil Corporation has announced that the price of 14.2 kg LPG cylinders has been increased from Rs. 1 to Rs. 4.5 in different parts of the country from July 1. The price of unsubsidised gas cylinder (14.2 kg) has been increasing by Rs. 4.5 since Wednesday. As a result, the price of LPG cylinder is increasing to Rs. 720.50. The price of a commercial cylinder (19 kg) has risen by Rs. 6 to Rs. 1,200.50. With this, the price of cooking gas has gone up for two months in a row.
লিড নিউজ

মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস!‌ টানা দু’‌মাস বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম

১ জুলাই থেকে ১৪.২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এক থেকে সাড়ে চার টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে ঘোষণা করল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। ফলে আয় কমলেও বেড়ে গেল হেঁশেলের খরচ। বুধবার থেকে ভরতুকিহীন গ্যাস সিলিন্ডারের (১৪.২ কেজি) দাম বাড়ছে সাড়ে চার টাকা। ফলে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৬২০ টাকা ৫০ পয়সা। বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের (১৯ কেজি) দাম ৭ টাকা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১২০০ টাকা ৫০ পয়সা। এই নিয়ে টানা দু’‌মাস বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম।
১ জুন থেকে ফের বাড়তে শুরু করে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম। ঠিক একইভাবে জুলাই মাসেও তা বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবে এই নিয়ে টানা দু’মাস বাড়ল ভরতুকিহীন গ্যাস সিলিন্ডারের দাম। তবে গ্রাহকরা জুলাই মাসে সিলিন্ডার কিনলে কত টাকা ভর্তুকি হিসাবে পাবেন, তা সরকারি তেল সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে এখনও জানানো হয়নি। একমাস আগে একই পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিল দেশবাসী। ৩১ মে দেশের সব মেট্রো শহরে রান্নার গ্যাসের দাম একধাক্কায় ৩৭ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছিল তেল সংস্থাগুলি। কলকাতায় গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়েছিল সাড়ে ৩১ টাকা। এবার বৃদ্ধির হার আবার বাড়ায় মধ্যবিত্তের ঘাড়ে বাড়তি বোঝা চাপানোর জন্য যথেষ্ট।
সারা বিশ্বেই করোনা মহামারির জেরে অপরিশোধিত জ্বালানির চাহিদা তলানিতে গিয়ে ঠেকে। গত এপ্রিল–মে মাসে বিশ্ববাজারে ঐতিহাসিক পতনের মুখোমুখি হয় অপরিশোধিত তেলের দাম। তবে এখন চাহিদা তুলনামূলকভাবে ক্রমশ বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে অপরিশোধিত জ্বালানির দামও। মঙ্গলবার কলকাতায় ১ লিটার পেট্রোলের দাম দাঁড়িয়েছে ৮২ টাকা ১০ পয়সা। ডিজেল লিটারপ্রতি ৭৫ টাকা ৬৪ পয়সা। জ্বালানির খরচে এমনিতেই নাজেহাল মধ্যবিত্ত। দামের ছেঁকায় বাজার থেকে ব্যাগ ভর্তি শাক–সবজি, মাছ–মাংস–ডিম কেনাও মুশকিল। এবার সেই খাবার আগুনে চাপাতেও গুণতে হবে বাড়তি কড়ি। ফলে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়।
উল্লেখ্য, দেশের পেট্রোপণ্য ক্ষেত্রে আর্থিক সংস্কারে জোর দিচ্ছে মোদী সরকার। সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে গ্যাসের দাম বিনিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটতে চাইছে কেন্দ্র। গত শুক্রবারই এই কথা জানান পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর মতে, এর ফলে বিদেশি লগ্নি বাড়বে। যার হাত ধরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশেই গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে।