আশা পূর্ণ হল না দর্শকদের। কারণ যে উত্তাপ ছড়িয়েছিল কয়েকদিন ধরে তার ধার দিয়েও হাঁটলেন না রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম দিবসের সভা যেন নিরামিষই রয়ে গেল। কারণ এখন থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমি জানি সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অপেক্ষা করে আছেন। তারা আমার মুখ থেকে কিছু শুনতে চান। আমি বলব। সব বলব। রাজনীতিতে সেই পথেই এবার হাঁটব যেখান দিয়ে গেলে আমাকে আর হোঁচট খেতে হবে না।’ এই মন্তব্য ফের জল্পনা তৈরি করল রাজ্য–রাজনীতিতে।
তিনি জানান, তবে আজ আমি রাজনৈতিক মঞ্চে আসিনি। নন্দীগ্রামের এই পবিত্র মঞ্চ রাজনীতির জায়গা নয়। এখান থেকে আমি কোনও রাজনৈতিক বার্তা দেব না। রাজনীতির কথা সময় মতো বলব। আর সেটা বলব রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে। শুভেন্দু অধিকারী কথাগুলি বলার পরই হাততালিতে ফেটে পড়ে নন্দীগ্রামের অরাজনৈতিক মঞ্চ। কিন্তু যেটা ভাবা হয়েছিল আজ হয়তো তিনি নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বলবেন, গেরুয়া শিবিরে যাওয়ার কথা বলবেন সেসব কিছুই বলেননি।
তবে স্পষ্ট করে কিছু না বলায় এক সময় রাজ্য–রাজনীতির পট বদলে দেওয়া নন্দীগ্রামে নতুন রাজনৈতিক জল্পনার জন্ম দিলেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের হাজরাকাটা ও চৌরঙ্গীতে আজ তৃণমূলের দুটি শহীদ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে তার আগেই সভায় অংশ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ব্যাপক জনসমর্থন আদায় করে নিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। গত কয়েকদিনে আমরা দাদার অনুগামী ব্যানারে একের পর এক জনসভা করছেন শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর নামে জেলায় জেলায় ব্যানারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তৃণমূল অবশ্য বলছে, এসব বিরোধী শিবিরের চক্রান্ত। হাওড়া, নদীয়া, বাঁকুড়া–সহ একাধিক জেলায় আমরা দাদার অনুগামী লেখা পোস্টার পড়ছে। আর ততই শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের জল্পনা বাড়ছে। শুভেন্দু অধিকারীর ৬ অক্টোবর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা চাউর হয়েছিল। তারপর তা ১০ তারিখ ঠিক হয়। এইসব কিছুই এখনও না হওয়ায় নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।