রাজ্য লিড নিউজ

ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথগ্রহণ কেন্দ্র করে বিতর্ক,শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান রাজভবনে করতে চান রাজ্যপাল

উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। যদিও রাজ্য-রাজভবন সংঘাত নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন ইস্যুতে এর আগেও একাধিকবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের মতানৈক্য হয়েছে। এবার ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করেও বিতর্কে রাজ্য বনাম রাজ্যপাল।

নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথগ্রহণ নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। ৮ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ির উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়। জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, বিধানসভার পরিবর্তে ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান রাজভবনে করতে চান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

সূত্রের খবর, সরাসরি ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়কে রাজ্যপাল ফোনও করেছেন। সরকার গঠনের সময় ছাড়া মাঝে কোনও উপনির্বাচন হলে জয়ী বিধায়কদের শপথের ক্ষেত্রে স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল। এমনকী রাজ্যপাল নিজেও শপথ বাক্য পাঠ করাতে পারেন।

সাধারণত, বিধায়কের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান বিধানসভাতেই হয়ে থাকে। তার পরিবর্তে রাজভবনে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান করতে চাইতেই বিতর্ক দানা বাঁধছে। ঘটনাকে ঘিরে ফের রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাতের আবহ দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

রাজ্যের দাবি, ৮ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ির উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরের দিনই জয়ী বিধায়কের শপথ সংক্রান্ত ফাইল রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ, দু সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও সেই ফাইলে সই করেননি রাজ্যপাল। ধূপগুড়ির বিধায়ককে ফোন করে রাজ্যভবনে শপথ বাক্য পাঠ করার বিষয়টি সামনে আসার পর দেরির কারণ এবার বুঝতে পারছে রাজ্য। এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য -রাজ্যপালের মধ্যে নতুন করে যে সংঘাতের সৃষ্টি হল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।