রাজ্য

কলকাতায় বাড়ল কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা

প্রথমে ছিল ২৫। দু’দিন পর তা বেড়ে হল ২৮। কিছু দিনের মধ্যে তা কমে ২৪ এসে ঠেকল। এবার এক ধাক্কায় তা বেড়ে হল ৩২। রাজ্যে মোট কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা আরও ৬৩টি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াল ৭৩৯টি। সংক্রমণ রুখতে এই সমস্ত জোনে কঠোর লকডাউন মেনে চলতে হবে।
শহরের যে জায়গাগুলো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত ছিল, সেখান থেকে একটি এলাকা তালিকা থেকে বর্তমানে বাদ গিয়েছে। সংযোজিত হয়েছে আরও ন’টি জায়গা। রাজ্যে বর্তমানে ৭৮৩টি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে। তার মধ্যে সর্বাধিক ১১৩টি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণায়। এই জোনগুলির বেশিরভাগই রয়েছে কলকাতা–লাগোয়া বিধাননগর, দমদম, দক্ষিণ দমদম, বরাহনগর, পানিহাটি, খড়দা, ব্যারাকপুর, বারাসাত, মধ্যমগ্রামে। এছাড়া অশোকনগর, হাবড়া, অশোকনগর পুরসভা এলাকাতেও কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে। তবে জেলার গ্রামীণ এলাকায় এমন জোনের সংখ্যা অনেকটাই কম।
কলকাতায় প্রত্যেকদিন রেকর্ড সংখ্যক ব্যক্তির শরীরে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে প্রশাসন। শহরে বর্তমানে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৪ থেকে বেড়ে ৩২–এ এসে দাঁড়িয়েছে। কলকাতায় অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ১৫৫। যদিও শহরে এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটেনি বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। রাজ্যের চারটি জেলায় কনটেইনমেন্ট জোন অনেকটাই বেশি। তার মধ্যে হাওড়া জেলায় রয়েছে ৮৫টি জোন। হাওড়ায় আবার পুরসভা এলাকার থেকে গ্রামীণ এলাকায় এই জোনের সংখ্যা বেশি।
এছাড়া পূর্ব বর্ধমান, উত্তর দিনাজপুর আর নদিয়ায় ৮২টি করে জোন রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ৬৭টি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে। বাংলার করোনা প্রত্যেকদিনই রেকর্ড হারে বাড়ছে। শনিবারই একদিনে ২,১৯৮ জনের শরীরে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ফলে বাংলায় মোট করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৪০ হাজারের গণ্ডি টপকে গিয়েছে। থামছে না মৃত্যু মিছিলও।