জেলা

হুগলিতে নতুন করে কন্টেইনমেন্ট জোন

রাশ হাতেই রাখতে চাইছে হুগলি জেলা প্রশাসন। তাই নতুন করে জেলার পুরসভা, ব্লক মিলিয়ে ২২টি এলাকার ৬৬টি জায়গাকে কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় আনল জেলা প্রশাসন। এই সংখ্যাটি সর্বশেষ কন্টেইনমেন্ট জোনের থেকে বেশি। আগে প্রায় ৫৪টি এলাকাকে ওই বিশেষ অঞ্চলভুক্ত করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সব এলাকাকে পৃথকভাবে ঘিরে দেওয়ার মতো কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। যদিও নজরদারি সহ যাতায়াতে বিধিনিষেধ–সহ প্রোটোকল জারি থাকবে।

এই ব্যাপারে জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি একটি নির্দেশিকা জারি করে পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে পদক্ষেপ করতে বলেছেন। জেলাশাসক বলেন, ‘‌রাজ্যের মুখ্যসচিবের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে করোনা সংক্রান্ত কিছু বিশেষ পদক্ষেপ করা হয়েছে। জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কিছু নির্দিষ্ট এলাকাকে চিহ্নিত করে সেখানে পরীক্ষা সহ নজরদারি ব্যবস্থা বলবৎ করা হয়েছে।’‌

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য চলতি বছরের প্রথম দিকে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন তৈরির পরিকল্পনা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সাল থেকে কন্টেইনমেন্ট জোন তৈরি করেও করোনা মোকাবিলা করা হয়েছে। হুগলিতে আগে কন্টেইনমেন্ট ও মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট উভয় জোনই তৈরি করে করোনা মোকাবিলা করা হয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসন নতুন করে কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকা তৈরি করেছে।

জেলার ১৭টি ব্লক ও ৫টি পুরসভাকে করোনা মোকাবিলায় বিশেষ ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকের তালিকায় শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া, জাঙ্গিপাড়া, চণ্ডীতলা-১ ও ২, মগরা, পাণ্ডুয়া, বলাগড়, ধনেখালি, পোলবা, আরামবাগ, পুরশুড়া, গোঘাট-১, সিঙ্গুর, হরিপাল, তারকেশ্বর এবং খানাকুল-১ ও ২ ব্লক আছে। অন্যদিকে, উত্তরপাড়া, ডানকুনি, শ্রীরামপুর, চুঁচুড়া ও তারকেশ্বর পুরসভা এই তালিকায় আছে।

অন্যদিকে গ্রামীণ এলাকাতেই সমস্যার তীব্রতা বেশি বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে ৫৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গুরের সবচেয়ে বেশি, ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। সবচেয়ে কম এলাকা নজরদারিতে থাকছে চণ্ডীতলা-২ ও পাণ্ডুয়াতে। সেখানে মাত্র একটি করে গ্রাম পঞ্চায়েতকে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে।