দেশ

উদ্ধব সরকারের অস্তিত্ব সংকট

সময় কঠিন হয়ে দাঁড়াল মহারাষ্ট্রে। আর তার জেরে সাংবিধানিক সংকট দেখা দিয়েছে মহারাষ্ট্রে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর আসন খোয়াতে হতে পারে উদ্ধব ঠাকরেকে। এই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সে কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারীর কাছে দরবার করেছে শাসক শিবির। যদিও এই ব্যাপারে এখনও কিছু বলেননি রাজ্যপাল। এটার জন্যও দায়ী করোনাভাইরাস।
জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র বিধানসভায় দু’টি কক্ষ রয়েছে। দেশের সংসদের মতোই। মুখ্যমন্ত্রী হলেও রাজ্য বিধানসভার দুই কক্ষের কোনওটিরই সদস্য নন উদ্ধব। নিয়ম অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী বা কোনও মন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে রাজ্য বিধানসভায় নির্বাচিত বা মনোনীত হয়ে আসতে হয়। শপথ নেওয়ার সময় উদ্ধবের পরিকল্পনা ছিল ছয় মাসের মধ্যে রাজ্যের কোনও একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে বিধানসভায় যাবেন তিনি। আর যদি তা না হয়, তাহলে দলীয় বিধায়কদের ভোটে উচ্চকক্ষ বিধান পরিষদে নির্বাচিত হবেন।
সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় করোনা। করোনা সংকটের জন্য মহারাষ্ট্রে এখন বিধান পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে না। আগামী ২৮ মে উদ্ধবের ছয় মাসের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার মধ্যে নির্বাচিত হয়ে না আসতে পারলে পদত্যাগ করতে হবে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদে রাজ্যপাল মনোনীত দুই সদস্যের আসন খালি আছে। ওই আসন থেকে উদ্ধবের মনোনয়ন নির্ভর করছে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির উপর।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে উদ্ধবের মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই একটি আসন থেকে মনোনয়নের জন্য তাঁর নাম প্রস্তাব করেছে রাজ্যপালের কাছে। তবে রাজ্যপাল সেই প্রস্তাব এখনও গ্রহণ করেননি। এখন উদ্ধবের কুর্সি বাঁচাতে মরিয়া মহারাষ্ট্রের জোট সঙ্গীরা। প্রয়োজনে তাঁরা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনি পথেও যেতে পারেন। আবার উদ্ধবকে পদত্যাগ করিয়ে নতুন করে শপথ নেওয়ানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আরও ছয় মাস সময় পাবেন উদ্ধব।