হাতের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে তা নিয়ে দলের অন্দরে জোর ঘোঁট পেকেছে। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী সভাপতি খোঁজার জন্য সোমবার সকালে ভিডিও বৈঠক শুরু হয়েছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির। সেই বৈঠকের শুরুতেই দলকে দেওয়া সোনিয়া গান্ধীর চিঠিটি পড়ে শোনান কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল। চিঠিতে সোনিয়ার অন্যতম বক্তব্য, ‘আমার বিকল্প খোঁজার কাজ শুরু করুন।’ তাহলে নতুন কংগ্রেস সভাপতি কে? তাই নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। তবে এখানে সোনিয়া আর কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী নন বলে জানিয়েছেন। আর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং অবশ্য সোনিয়াকেই আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে বলেন।
এদিকে সোমবার বৈঠকের আগে, রবিবার সোনিয়ার উদ্দেশ্যে কংগ্রেসের প্রবীণ–নবীন মিলিয়ে ২৩ জন শীর্ষনেতার চিঠি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সেই চিঠির প্রত্যুত্তরে দলকে পালটা চিঠি দেন সোনিয়া। সেখানে তিনি জানিয়ে দেন যে, দলের কার্যনির্বাহী সভাপতির পদ ছাড়তে তিনি তৈরি। প্রথমসারির কংগ্রেস নেতা অমরিন্দর সিং, ভূপেশ বাগেল ও সিদ্দারামাইয়া বলেন, সোনিয়া গান্ধী যতদিন চান ততদিনই কংগ্রেসের শীর্ষস্থানে থাকতে পারেন। তাঁর পরে ওই পদে আসবেন রাহুল গান্ধী। কারণ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা তাঁর আছে।
অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী রাহুলকে আটকাতেই এই চিঠি–চাপাটি? নাকি সুকৌশলে গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে ঢুকিয়ে দিয়ে নিজেদের আখের গোছানো? গত ১০ আগস্ট এক বছরের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী পদে মেয়াদ শেষ করেন সোনিয়া। কিন্তু তার পর দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও এই ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কংগ্রেস।