দেশ ব্রেকিং নিউজ

রাজস্থানে ভোটে হার কংগ্রেসের

রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও রাজস্থানের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি’‌র থেকে কম আসন পেল কংগ্রেস। যা দলের পক্ষে বড় ধাক্কা। নয়া কৃষি আইনকে কেন্দ্র করে কৃষকদের ক্ষোভের মুখে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। মূলত পাঞ্জাব আর হরিয়ানার কৃষকদের নেতৃত্বে আন্দোলন হলেও তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের কৃষকরাও। বিজেপি’‌র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার দাবি কৃষকরা তাঁদের পাশেই রয়েছে। কারণ রাজস্থানের স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফল তাঁদের পক্ষে।
পঞ্চায়েতে বিজেপি’‌র থেকে কম আসন পাওয়াটা মরুরাজ্যে গেহলট সরকারের নীতি এবং কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। রাজ্যে ক্ষমতায় না থাকা সত্ত্বেও রাজস্থানের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি। এটা খুব উল্লেখযোগ্য বিষয় কারণ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল মূলত রাজ্যের শাসকদলের পক্ষে যাওয়ার প্রবণতাই বেশি দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্থানের জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতি মিলিয়ে মোট ৪,৩৭১টি আসনের নির্বাচন হয়েছিল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার মধ্যে ১,৮৩৩টি আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ১,৭১৩টি আসনে। ৪১৩টি আসন গিয়েছে নির্দলদের দখলে। লোকসভার সাংসদ হনুমান বেনিওয়ালের দল রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির দখলে গিয়েছে ৫৬টি আসন। সিপিআই ১৬টি এবং বিএসপি ৩টি আসন পেয়েছে। এনসিপি পেয়েছে ১টি আসন। এমনকী রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিং দোতাসরার নিজের এলাকা এবং একাধিক মন্ত্রীর নিজের বিধানসভা কেন্দ্রেও হারতে হয়েছে কংগ্রেসকে।
এই ফলাফলের জন্য রাজস্থানে কংগ্রেসের মধ্যে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অনেকটাই দায়ী। মাস কয়েক আগে তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণার পর প্রথমবার এত বড় নির্বাচন হল রাজস্থানে। আর তাতেই পরাস্ত হতে হল কংগ্রেসকে। তাও আবার গ্রামীণ এলাকায়। অনেকেই মনে করেছেন, রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা সত্বেও পঞ্চায়েতে এই হার কংগ্রেসের দৈন্যদশার বহিঃপ্রকাশ। আবার অনেকে মনে করছেন, সাংগঠনিক দুর্বলতার থেকেও বড় ফ্যাক্টর হল দলের দুই হেভিওয়েট নেতার দ্বন্দ্ব।
বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা মনে করেন, কৃষকরা পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন এই ভোটের মধ্যে দিয়ে। রাজস্থানের ফলাফল সামনে আসতেই তিনি বলেন, ‘‌প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওপরে কৃষক, শ্রমিক এবং গরিবরা আস্থা রেখেছেন বলেই এই ফলাফল।’‌