পুদুচেরিতে কংগ্রেস সরকারের পতন হল। এই দেওয়াল লিখনটা স্পষ্টই ছিল। কিন্তু মানতে রাজি ছিল না কংগ্রেস। শেষ রাতে বাজিমাত করবে ভেবেছিল তারা। কিন্তু তা আর হয়ে উঠল না। বিধানসভা নির্বাচনের দেড় মাস আগে পুদুচেরিতে পতন হল কংগ্রেস সরকারের। রবিবারই দুই বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে নারায়ণস্বামীর সরকার। সোমবার আস্থা ভোটের আগেই শাসক গোষ্ঠীর বিধায়করা ওয়াক আউট করেন। তখনই স্পিকার ঘোষণা করেন যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস সরকার।
জানা গিয়েছে, কংগ্রেস সরকারের কাছে মাত্র ১২ জন বিধায়ক ছিল। সেখানে বিরোধী বিধায়কের সংখ্যা ১৪। এমনিতেই প্রতিকূল পরিস্থিতি ছিল। তার মধ্যে ব্যাকফুটে চলে যাওয়ায় সরকার পড়ে গেল। হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্যে আছে কংগ্রেস সরকার। তার মধ্যে পুদুচেরি ছিল একটি। ফলে কংগ্রেস–মুক্ত ভারত গড়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বিজেপি বলে মনে করা হচ্ছে।
রবিবার বিধানসভার অধ্যক্ষ ভি পি শিবাকোলুন্ধুর বাসভবনে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন রাজভবন কেন্দ্রের বিধায়ক কে লক্ষ্মীনারায়ণ। ডিএমকে বিধায়ক কে ভেঙ্কটেশনও তারপর ইস্তফা দেন। ২০১৬ সালে ডিএমকের তিনজন এবং একজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। নিজেদের হাতে ছিল ১৫ জন। কিন্তু আপাতত ৩৩ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় (তিনজন মনোনীত) পাঁচজন সদস্য কমে গিয়েছে। তার ফলে বিধানসভায় সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮। লক্ষ্মীনারায়ণ এবং ভেঙ্কটেশনের ইস্তফাপত্র গৃহীত হলে সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়াবে ২৬। আর অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে বিজেপির হাতে ১৪ জন বিধায়ক আছেন। ফলে ক্ষমতা হারাল নারায়ণস্বামী সরকার।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রশাসিত পুদুচেরির এলজি কিরণ বেদীকে সরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তেলঙ্গানার রাজ্যপাল। তার মধ্যেই ক্ষমতা হারালেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন নির্বাচনের কিছুদিন আগে কার্যত অভিভাবক শূন্য পুদুচেরি। এপ্রিল–মে মাসে চার রাজ্যের ভোটের সঙ্গে পুদুচেরিতেও নির্বাচন হবে
