বাংলাদেশ

যাতায়াতের শর্ত প্রত্যাহার হলো

করোনার ডেল্টা প্রজাতির প্রাদুর্ভাবের ব্যাপকতায় ২৬ এপ্রিল থেকে সীমান্তপথ বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ। দফায় দফায় সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সোমবার থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ফলে ভারত–বাংলাদেশ যাতায়াতের ক্ষেত্রে শর্ত উঠে গেল।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, চিকিৎসা ও ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে যারা ভারত যাতায়াত করতে চান, তাঁদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ছাড়পত্র লাগবে না। তবে যাঁরা এক ডোজ টিকা নিয়েছেন, ভারত থেকে ফেরার পর তাঁদের ১৪ দিন কোয়ারান্টাইনে অবশ্যই থাকতে হবে। যাঁরা দু’ ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাঁদের কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, এপ্রিল মাসের শুরুতে ভারতে করোনার ডেল্টা ধরনের ভাইরাসের আশঙ্কাজনক প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তখন বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষকে রক্ষা করার জন্য সীমান্তপথ বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। তবে ক্ষেত্রে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সচল রাখা হয়।

সীমান্ত বন্ধ থাকাকালীন চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হত। দীর্ঘদিন পর সোমবার থেকে সীমান্ত-নিষেধজ্ঞা তুলে নেওয়া হল এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ছাড়পত্রের শর্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। এমন আদেশ বেনাপোল ইমিগ্রেশনেও পৌঁছে গিয়েছে, যা নিশ্চিত করেছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন। একমাত্র ভ্রমণ-ভিসা ছাড়া সকল ভিসাই দিচ্ছে ভারত।

শর্তানুযায়ী ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যেক যাত্রীকে করোনার নেগেটিভ সনদপত্র অবশ্যই ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। ভারত থেকে ফেরার সময় দূতাবাস থেকে ছাড়পত্র আনতে হবে। শর্তানুযায়ী ভারত-ফেরত যাত্রীদের মধ্যে যাঁদের দু’টি টিকা নেওয়া রয়েছে, তাদের দেশে ফিরে কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে না।