প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলছেন, দ্রুত করোনা ভ্যাকসিন বেরিয়ে যাবে। প্রায় লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছি। এমনকী দেশবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কিন্তু সরকার করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করলেও এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলছেন অন্য কথা। তাঁর দাবি, সাধারণ মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য ২০২২ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর এইসব কথা আসলে মিথ্যার বেসাতি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকার যে টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছে তার সদস্য ডা রণদীপ গুলেরিয়া। এক সাক্ষাৎকারে গুলেরিয়া বলেন, ‘ভারতের বাজারের করোনার টিকা সহজলভ্য হতে অন্ততপক্ষে আরও একবছর অপেক্ষা করতে হবে।’ সুতরাং যা প্রচার করা হচ্ছে তা এত সহজ নয় সেটা বোঝা যাচ্ছে এই অধিকর্তার কথায়। তাহলে বিহারে দাঁড়িয়ে যে কথা প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন তা কতটা অবাস্তব এবার তা সামনে চলে এল।
অন্যদিকে গুলেরিয়া জানান, আমাদের দেশের জনসংখ্যা প্রচুর। দেখতে হবে কীভাবে করোনার ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়া যায়। করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আসার পর প্রধান সমস্যা হল তা বিতরণ। এই নিয়ে দেশের প্রতিটি প্রান্তে যাতে ওই ভ্যাকসিন পৌঁছে যায় তা দেখাই প্রধান লক্ষ্য। কোল্ড চেন তৈরি করতে হবে, পর্যাপ্ত সিরিঞ্জের প্রয়োজন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তা পাঠাতেও হবে। এটাই বড় চ্যালেঞ্জ। ভ্যাকসিন দিলেও যে করোনাভাইরাস নির্মূল হবে তা বলা যায় না। অধিকর্তার এই কথা থেকে স্পষ্ট যে, ভ্যাকসিন বেরোলেও তার জন্য পরিকাঠামো প্রয়োজন।
