রাজ্য

বই বাঁচাতে মরিয়া বই–পাড়া

কফি হাউসের নীচে পাঠ্যপুস্তকের ছোট্ট স্টল। আমফানে গতবছর সেই দোকানের প্রায় অর্ধেক বই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। বরেন দাস, কলেজ স্ট্রিট চত্বরের আর এক ব্যবসায়ী। জলে ভেসে গিয়েছে তাঁর প্রায় ২ লক্ষ টাকার নতুন বই। এবার আবার আসছে ইয়াস। তাই কার্যত ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছে ‘ঘরপোড়া’ কলেজ স্ট্রিট। দেখা গিয়েছে, বই বাঁচানোর তাগিদ। যতটা সম্ভব বাঁচানোর প্রাণপণে চলেছে তারই চেষ্টা। লকডাউন পরিস্থিতিতে সব লোকাল ট্রেন বন্ধ। তবু শ্রীরামপুর থেকে কোনওক্রমে কলেজ স্ট্রিটে ছুটে এসেছেন বরেন দাস। ব্যাপক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে।
তিনি এলেন কীভাবে?’ বরেনবাবু জানান, সাত‍টা ব্রেক জার্নি করে! কিছুটা সাইকেলে। কিছুটা গাড়ি ভাড়া করে। কিছুটা একেবারে হেঁটে। উদ্দেশ্য একটাই, যদি কিছুটাও ঠেকানো যায়। আর এক ব্যবসায়ী বলেন, কলেজ স্ট্রিট চত্বর অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। আমফান আমাদের কোমর ভেঙে দিয়েছে। গত সপ্তাহে ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে প্রায় আড়াই ফুট জল উঠে যায়।
ইয়াস–এ কী হবে জানি না। ক্ষয়ক্ষতি কিছু যে হবেই তা নিশ্চিত। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, আমরা কাছে থাকি। তাই তাড়াতাড়ি এসে কিছুটা হলেও বই সরাতে পেরেছি। তবে বইপাড়ার বেশিরভাগ ব্যবসায়ী বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। অনেকে লকডাউনে দোকান বন্ধ করে চলে গিয়েছেন বাড়ি। অনেক ব্যবসায়ীর ছোট স্টল রয়েছে কলেজ স্ট্রিটে। বৃষ্টির জলের হাত থেকে বই বাঁচানোর মতো সুরক্ষিত কোন‌ও জায়গা নেই তাঁদের। তাঁরা যতটা পেরেছেন প্লাস্টিকে মুড়ে রেখেছেন বইপত্র। সব মিলিয়ে ব্যবসায়ীদের একটাই প্রশ্ন একটাই আতঙ্ক, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে তাঁদের দোকানের, ব্যবসার ক্ষয়ক্ষতি কতটা হবে!