বাংলাদেশে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব মিটেছিল তুলনামূলক শান্তিপূর্ণভাবে। কিন্তু শনিবার দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই অশান্তির খবর মিলেছে। দেশের দক্ষিণ জনপদ জেলা বরগুনায় পুরসভা নির্বাচনের ঠিক আগের রাতে ঘটেছে ককটেল বিস্ফোরণ। ককটেল বোমা ফেটেছে শাসকদল আওয়ামি লিগের মেয়র প্রার্থীর অস্থায়ী কার্যালয়ের কাছে। ভোটের প্রচারে গিয়ে খুন হয়েছেন ঝিনাইদহের কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেনের ভাই। নিহত লিয়াকত হোসেন বল্টু নিজেও আওয়ামি লিগের নেতা।
শনিবার বাংলাদেশের ৬০টি পুরসভায় দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে। চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। ২৯টি পুরসভায় ইভিএমে এবং ৩১টিতে কাগজের ব্যালটে ভোট নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভোটগ্রহণ পর্বের শুরু থেকেই নানা জায়গা বিক্ষিপ্ত অশান্তি চলছে। দাগনভূঞাঁ পুরসভার অন্যতম ভোটকেন্দ্র গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে সকালে পরপর দুটি ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। ভোটকেন্দ্রের পাশে থাকায় জখম হয়েছেন তারেক হোসেন ও সুজন নামে দুই ছাত্রলিগ কর্মী।
বাগেরহাট জেলার মোংলা পোর্ট পুরসভার বিদায়ী মেয়র ও বিএনপি প্রার্থী আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ তুলে ভোট বয়কট করেছেন। প্রতিবাদে শামিল বিএনপি’র আরও ১২জন কাউন্সিলর প্রার্থীও। ভোটকেন্দ্রের আশপাশে অস্ত্রের মহড়া চলছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে তাঁরা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন না বলে ঘোষণা করেছেন।
ভোটের সময় সংঘর্ষের বিষয় মাথায় রেখেই বিপুল সংখ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের শেষে প্রথম দফায় ২৩টি পুরসভায় মোটের উপর শান্তিপূর্ণ হলেও, একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। দ্বিতীয় ধাপে সংঘাত, হিংসা বেড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণ, হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে।