দেশ লিড নিউজ

বৈঠক এড়িয়েও দিলেন রিপোর্ট

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াসে’র প্রভাবে তছনছ দিঘা। উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকাও ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে রিপোর্ট তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রিভিউ মিটিংয়ে যোগ দেননি তিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কিছুক্ষণের সাক্ষাতেই রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির কথা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশাকে যেখানে ৬০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে সেখানে বাংলার ভাগে মাত্র ৪০০ কোটি কেন? এই নিয়ে অনুযোগের সুরেই প্রশ্ন তুলে দিলেন মমতা।
দুপুর ২টো ১০ মিনিট নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা এয়ারবেস চত্বরে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তার আগেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার সেখানে যান। নরেন্দ্র মোদী পৌঁছনোর বেশ কিছুক্ষণ পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলাইকুন্ডায় পৌঁছন। রাজ্যপালের সঙ্গে তিনিও প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ানের হিসাব সম্বলিত রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন তিনি। তারপরই চপারে করে দিঘার পথে রওনা হন।
মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে রাজ্যের ক্ষতির কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা যে রাজ্য সরকার পায়নি তা তিনি জানাতে ভোলেননি। রাজ্যকে মাত্র ৪০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে তাও জানিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ওই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এবং খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ। তবে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা রিভিউ বৈঠকে যোগ দেননি মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দু অধিকারী এবং দেবশ্রী চৌধুরী কেন ওই বৈঠকে থাকবেন, তার যৌক্তিকতা নিয়ে আগে প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্য। তাঁরা থাকলে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে আগেই কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল। সাগরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখার সময় খোদ মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়ে দিয়েছিলেন সেকথা। কলাইকুণ্ডা থেকে বেরিয়ে মমতা যান দিঘা। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‌প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব তুলে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে, ইয়াসে রাজ্যের ক্ষতি ২০ হাজার কোটি টাকার। এছাড়াও দিঘার জন্য ১০ হাজার কোটির একটা প্যাকেজ চেয়েছি।’‌