দেশ ব্রেকিং নিউজ

ফের মোদীকে চিঠি মমতার

করোনা ভ্যাকসিন চেয়ে আর আবেদন–নিবেদন নয়। এবার ভ্যাকসিন বণ্টনে কেন্দ্রের ভূমিকাকে সরাসরি আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে কেন্দ্রের এই ঘোষণাকে অন্তঃসারশূন্য, দায়িত্ববিমুখ বলে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার সাফ যুক্তি, বাজারে এখনও প্রয়োজন অনুযায়ী ভ্যাকসিন নেই। অবিলম্বে দায়িত্ব নিতে হবে কেন্দ্রকেই।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করলেন, কেন্দ্র সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন বণ্টনে যথেষ্ট উদাসীন ছিল। যার জেরে সময়মতো টিকা পাওয়া যায়নি। বাংলার জন্য বারবার পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকা চেয়েও পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে করোনা ভ্যাকসিন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি তিনবার চিঠি লিখলেন। চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘‌গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আমি আপনার সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখেছিলাম। সরাসরি জানিয়েছিলাম, আমরা ভ্যাকসিন কিনে রাজ্যবাসীকে দিতে চাই। এ ব্যাপারে আজও উত্তর পাইনি।’‌
করোনার প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পরপরই কেন্দ্রের তরফে বিভিন্ন রাজ্যে তা পাঠানো হয়েছিল। পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ দিয়ে প্রথমে টিকাকরণ শুরু হয়। পরে ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’কে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। জোড়া ভ্যাকসিনে টিকাকরণ শুরু হলেও বাংলায় পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন সরবরাহ হয়নি বলে অভিযোগ। টিকাকরণ কর্মসূচির শুরুতেই বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর সরকার রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে টিকা দিতে চায়। তার জন্য যত প্রতিষেধক প্রয়োজন, তা কেন্দ্রের কাছ কিনে নেওয়া হবে।
কেন মুখ্যমন্ত্রীর এই বিষোদগার? মমতা ব্যাখ্যা করেছেন নিজেই। তিনি লিখেছেন, ঘোষণা থেকে ভ্যাকসিনের গুণগত মান, কার্যকারিতা কিছুই স্পষ্ট হচ্ছে না। জোগান ঠিক থাকবে কিনা তাও বোঝা যাচ্ছে না। মমতার যুক্তি এভাবে ভ্যাকসিনের বাজারিকরণের ফলে কালোবাজারিরও সম্ভাবনা রয়েছে। এমন হলে এই দুঃসময়ে তা মানুষের ওপর বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার শামিল হবে। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করেই মমতার অনুরোধ, যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী ভ্যাকসিন রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়। আর কেন্দ্র যাতে একটি আদর্শ টিকাকরণ নীতি প্রকাশ করে।
উল্লেখ্য, এবার আর আবেদন নয়, কেন্দ্রের ভ্যাকসিন বণ্টন নীতি নিয়ে সরাসরি আক্রমণ করেই চিঠি লিখলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, এই নীতি কিছুটা অস্বচ্ছ। বিশেষ করে খোলা বাজারে ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংকটকালে যেখানে টিকার চাহিদা আরও বেশি করে বাড়ছে, সেখানে তার জোগান নিয়ে কেন এত উদাসীন কেন্দ্র? এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।