ভোট–চতুর্থীতে মাঠে সেই প্রশান্ত কিশোর। তাঁর ফাঁস হওয়া অডিও টেপের সত্যতা স্বীকার করে নিলেন তৃণমূলের ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর। বিজেপিকে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন, ‘নির্বাচিত অংশ নিয়ে মাতামাতি করছে বিজেপি। সাহস থাকলে পূর্ণাঙ্গ অডিয়ো টেপ প্রকাশ করুক।’ প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে সাংবাদিকদের কথোপকথনের অডিও টেপ ফাঁস করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রশান্ত কিশোর নিজেই স্বীকার করে নিলেন, অডিও টেপের কণ্ঠস্বর তাঁরই। তবে ফের একবার জানিয়ে দিলেন, ‘বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে একশো পার করবে না।’
ক্লাব হাউস রুমে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে দিল্লির সাংবাদিকদের কথোপকথনের একাংশ টুইট করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। সেখানে প্রশান্ত কিশোরের মুখে শোনা যাচ্ছে, তাঁর সমীক্ষা অনুযায়ী, রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই বিজেপিকে সরকারকে দেখতে চান। দুই তৃতীয়াংশ বাম সমর্থকও বিজেপিকে চায়। অডিও ক্লিপের সত্যতা স্বীকার করলেও প্রশান্তের দাবি, এটা আংশিক। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ১০০টা আসন পার করতে পারবে না।
প্রশান্ত কিশোর টুইটারে লিখেছেন, ‘বিজেপি নিজের নেতাদের কথার তুলনায় আমার কথোপকথনে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে দেখে আমি খুশি। তবে শুধুমাত্র নির্বাচিত অংশ ব্যবহার না করে তাদের উচিত পুরো আলাপচারিতা শোনানোর সাহস দেখানো। আগের মন্তব্যেই স্থির থাকছি। বিজেপি কোনো ভাবেই বাংলায় একশো পেরোবে না’। অমিত মালব্যর ফাঁস করা একটি ক্লাব হাউজ চ্যাটে দাবি করা হচ্ছে, প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, বাংলায় বাম–কংগ্রেস–তৃণমূল সব দলই তোষণের রাজনীতি করেছ। রাজনীতির একটাই অভিমুখ, মুসলিমরা যাকে ভোট দেবে সরকার তার। এটাই বাম, কংগ্রেস বা দিদির রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুসলিম ভোট পেতে সকলেই রাজনীতি করেছে।
প্রশান্ত কিশোর টুইটারে লিখেছেন, খুশি হয়েছি এটা জেনে, বিজেপি নিজের নেতাদের চেয়ে আমার কথায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। বেশি মাতামাতি না করে সাহস থাকলে পূর্ণাঙ্গ অডিও ক্লিপ প্রকাশ করুক ওরা। আমি আগেও বলেছি, এবারও বলছি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ পেরেবো না বিজেপি। পাশাপাশি এমনও দাবি করা হচ্ছে, এই নির্বাচনে তফসিলি ভোট একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। নরেন্দ্র মোদীর গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে ওই ক্লাবহাউজ চ্যাটে। সেখানে দাবি, প্রশান্তকে বলতে শোনা যায়, ‘এই প্রথমবার হিন্দুদের মনে হচ্ছে, আমাদের ভোটেরও গুরুত্ব রয়েছে। সমাজব্যবস্থায় গলদ রয়েছে বলব না, তবে এটা একটা ইস্যু তো বটেই। এটাই ব্যবহার করছে বিজেপি। সংখ্যালঘু রাজনীতির অপব্যবহার করেছে এই পার্টিগুলি। তা অস্বীকার করা যায় না।’