পঞ্চমীর দিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশ সকাল থেকেই মেঘলা। কিন্তু বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে, বৃহস্পতিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ চড়বে তাপমাত্রার পারদ। বঙ্গে ধীরে ধীরে কমবে আদ্রতাজনিত অস্বস্তি। আপাতত নবমীর আগে কলকাতায় ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। পুজোর মধ্যে মেঘমুক্ত থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ। তবে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে অতিভারী নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। ২১ অক্টোবর নিম্নচাপ গভীর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। যদিও এই নিম্নচাপের কোনো প্রভাব বাংলার ওপর পড়বে না। কিন্তু কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় নবমীর দিন তুমুল দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে নতুন করে আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, অষ্টমী পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই কলকাতায়। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলায় মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ থাকবে। কলকাতা সহ বঙ্গের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও ক্রমশ কমছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং হিমালয় সংলগ্ন পার্বত্য পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। কলকাতায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পূর্বাভাস বলছে, দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মুলত মেঘমুক্ত থাকবে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূম, নদিয়া, বর্ধমানে নবমী এবং দশমী হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও দশমীতে কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। পুজোর মুখে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমায় ভ্যাপসা গরমও কিছুটা কমবে। ইতিমধ্যেই উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রবেশ করবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। উত্তরবঙ্গের কালিম্পং, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলায় নতুন করে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।